নারী ফুটবল বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে পা রেখেছে ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে । আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে মহামঞ্চে পৌঁছে গেছে ইংলিশ লায়ন্সরা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী স্পেন। ইংল্যান্ড ও স্পেন দুই দলই প্রথমবারের মতো ফাইনালের মঞ্চে পা রেখেছে।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। তবে বারবার স্বাগতিকদের ডি-বক্সে ঢুকেও ব্যর্থ হতে হয় তাদের। অবশেষে ম্যাচের ৩৬ মিনিটে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।
মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে মাঠের বাম দিক ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন এলা টনি। অস্ট্রেলিয়ার এক খেলোয়াড় তাকে আটকাতে গিয়েও ব্যর্থ হন। আর সেই সুযোগে কোণাকুণি শটে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান এই প্রমীলা তারকা।
প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালায় অস্ট্রেলিয়া। ফলও পায় হাতেনাতে। ৬৩ মিনিটে ক্যাটরিনা ঘরির দ্রুত বাড়ানো পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে সমতা ফেরান স্যাম কার।
ইংল্যান্ডের সামনে সুযোগ ছিল এই ম্যাচ জিতে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলা। সেই লক্ষ্য নিয়েই খেলতে থাকে তারা। অস্ট্রেলিয়া সমতা ফেরানোর পরও তাই নিজেদের খেলায় পরিবর্তন আনেননি ইংল্যান্ডের মেয়েরা। আর তাতেই লাওরেন হেম্পের গোলে ৭১ মিনিটে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-১।
মূলত এখানেই অজি মেয়েদের মনোবল ভেঙে পড়ে। গোল খেয়ে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি তারা। এই সুযোগ নিয়েই স্বপ্ন পূরণের আরও কাছে পৌঁছে যায় ইংলিশ মেয়েরা। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে আলেসা রুশো শেষ পেরেকটা ঠুঁকে দেন অস্ট্রেলিয়ার কফিনে। আর তাতেই ঘরের মাঠে ৭৬ হাজার দর্শকের সামনে হারের যন্ত্রণায় লুটিয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা।