রপ্তানি বাজার যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে সরকার সচেতন আছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে পোশাক খাতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে এমনটা আমরা মনে করছি না।’ বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকারের অবস্থা এখন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসার পর্যায়ে নেই বলেও জানান বাণিজ্য সচিব।
আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য সচিব এ কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে মেমোরেন্ডাম দিয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনা করে তাদেরকে অগ্রগতি জানানো হবে। পোশাক খাত নিয়ে পাঁচ বছরের যে কর্ম পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেখানে যেসব অগ্রগতি হয়েছে এখন পর্যন্ত সেগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাচ্ছে। তাই শ্রম আইন নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছি। আমরা এ পর্যন্ত চারবার শ্রম আইন সংস্কার করেছি। আমরা সংস্কারের মধ্য দিয়েই যাচ্ছি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘বেপজা আইনের সংস্কার হয়েছে। আবার আগামী বছর জুন মাসে বেপজা আইনের সংস্কার হবে। এটা যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে। এ নিয়েই আজকে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। যুক্তরাষ্ট্র আরও সংস্কার দেখতে চাচ্ছে। তারা যে অগ্রগতি দেখতে চায় শ্রম আইন বা শ্রম অধিকার নিয়ে তা একদিনে হবে না। এটা আমাদের জন্য একটা চলমান প্রক্রিয়া। সরকার এটা নিয়ে সচেতন আছে। সব ধরনের নিয়ম মেনেই বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি করা হয় বিভিন্ন দেশে। কারও দয়ায় বাংলাদেশ কোনো দেশে পোশাক রপ্তানি করে না।