নভেম্বর ১৬, ২০২৪

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক পরিচালক এবং বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, বর্তমানে যেসব কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসছে সেগুলোর কোনোটাই ভালো না। এভাবে খারাপ কোম্পানির আইপিও আসলে পুঁজিবাজার কখনো ভালো হবে না। বরং আরো খারাপ দিকে যাবে। পঁচা ও খারাপ কোম্পানিগুলো আয় বেশি দেখিয়ে পুঁজিবাজারে আসে। কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম যেটা হওয়া দরকার তার থেকে কয়েকগুণ বেশি দিয়ে আনা হচ্ছে।

বুধবার (২১ জুন) পুঁজিবাজারের বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ফল উৎসবে তিনি একথা বলেন।

মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, পুঁজিবাজারে ভালো ফল আসবে ভালো শেয়ার থেকে। ভালো ফল মানে মুনাফা বা লাভ করা। কিন্তু সেই ফলের আসায় লোভ করা যাবে না। বেশি লাভের আশায় লোভ করলে বড় লোকসানের মুখে পড়ত হবে।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের ধাক্কা এখনো কোনো কোনো ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ডিএসইর ২৫০টি ব্রোকারেজের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০টি মোটামাটি ভালোভাবে চলছে। বাকিগুলো কোনো রকম বেঁচে আছে। আর নতুন যেসব ব্রোকারেজ হাউজগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে ১০ থেকে ১২টির কার্যক্রম চালু করেছে। বকিগুলোর কোনো খোঁজ নেই। এছাড়া প্রতিনিয়ত বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার ছেড়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স আসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সেক্রেটারি জেনারেল রিয়াদ মতিন বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের কাজে স্পৃহা যোগাবে।

সভাপতির বক্তব্যে জিয়াউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মতো বিকাশমান অর্থনীতিতে মূলধনের যোগান দিতে পারে শক্তিশালী পুঁজিবাজার। তবে পুঁজিবাজার ডমিনেন্ট হতে পারে বা ড্রাইভ দিতে পারে এমন অর্থনীতি আমাদের হয়নি। আমরা সেদিকে যাচ্ছি। উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে যেতে হলে প্রয়োজন অর্থের। পুঁজিবাজার সেই অর্থায়নের উৎস হতে পারে। আমরা সেদিকে যাবো, পুঁজিবাজারের মাধ্যমে আমাদের অভিযাত্রা শুরু হবে।

সিএমজেএফের সভাপতি জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বতে ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএমবিএর কার্যকরী পরিষদের সদস্য মাহবুব এইচ মজুমদার ডিএসইর সিনিয়র জিএম সামিউল ইসলাম, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...