বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের মোট আয়ের ৯৬ দশমিক ৬ শতাংশ আসে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ও ডিবেঞ্চার থেকে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, সালমান এফ রহমানের বার্ষিক আয় ২৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর ৯৬ দশমিক ৬ শতাংশ আসে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ও ডিবেঞ্চার থেকে।
তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩১২ কোটি ৯ লাখ টাকা, যার মধ্যে ৯৪ শতাংশের বেশি অস্থাবর বন্ড, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার এবং লেটার অব ক্রেডিট। অর্থাৎ বার্ষিক আয়ের ২৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আসে ডিবেঞ্চার, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র ও শেয়ার থেকে।
২০১৮ সালে সালমানের বার্ষিক আয় ছিল ৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সেই তুলনায় তার বার্ষিক আয় বেড়েছে ১৬ কোটি টাকা।
সালমানের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩১২ কোটি ৯ লাখ টাকা, যার মধ্যে বিনিয়োগ ২৯৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা, নগদ ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, যানবাহনে ৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বৈদ্যুতিক সামগ্রীতে ৬০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্রে ৩৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
হলফনামায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানি, বন্ড ও ডিবেঞ্চারে তার বিনিয়োগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৮ সালে সালমানের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২৭৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এ বছরের হলফনামায় বলা হয়েছে, সালমান এফ রহমানের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তবে তার স্ত্রীর ৩২ কোটি ৪৭ লাখ টাকার আবাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পত্তি রয়েছে। সালমানের ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার অকৃষি জমি এবং তার স্ত্রীর ৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার জমি রয়েছে।
২০১৮ সালে সালমান দেখিয়েছিলেন, তার ৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা মূল্যের একটি ভবন আছে, কিন্তু তার স্ত্রীর নেই।
২০১৮ সালে সালমান দেখিয়েছিলেন, তার ২ কোটি ৩ লাখ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি রয়েছে। তার স্ত্রীর ৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি ছিল।
২০২৩ সালের হলফনামায় সালমানের নামে ৮০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে, যার মধ্যে ৫৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা জামানত বিহীন লোন এবং ২৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে তার ঋণ ছিল ৮৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, অর্থাৎ তার ঋণ কমেছে ৩ কোটি টাকা।
২০১৮ সালে সালমানের স্ত্রীর নামে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ঋণ ছিল। তবে এবার স্ত্রীর নামে কোনো ঋণ দেখাননি সালমান।