পিরোজপুর-১ ও ২ আসনের সীমানা পুননির্ধারণ করে প্রকাশিত গেজেট প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। আজ রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ খারিজ করে রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, এম কে রহমান, সাঈদ আহমেদ রাজা ও মোস্তাফিজুর রহমান খান। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন মিয়াজী। আদালতে এ বিষয়ে মতামত দেন সাবেক এটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ।
রায়ের পর আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী জানান, সীমানা নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। তাই রুল খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। পিরোজপুর-১ আসন আগে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। এ আসনের সীমানা পরিবর্তন করে নেছারাবাদ উপজেলা বাদ দিয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা যোগ করা হয়েছে। ইন্দুরকানী উপজেলা আগে পিরোজপুর-২ আসনের অংশ ছিল। অন্যদিকে নেছারাবাদ উপজেলা পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসনের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত ইসির গত ১ জুনের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. কায়কোবাদ, মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান, নেছারাবাদ উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম শরীফ।খবর বাসস।
ওই দুটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩০ জুলাই হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে পিরোজপুর-১ ও ২ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে প্রকাশিত গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে ইসি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রোববার রায় ঘোষণা করা হয়।