সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

সবজির পাশাপাশি বাজারে কমেছে মুরগির দর। তবে কিছুটা বেড়েছে ডিম ও পাম অয়েলের। অন্যদিকে এক মাস আগে বেড়ে যাওয়া চালের বাজারে এখনও মেলেনি স্বস্তির খবর।

ক্রেতারা বলছেন, অনেক জায়গায় এখন চাঁদাবাজি কমেছে। কিন্তু সেই হারে পণ্যের দর কমেনি। আগের সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। বর্তমান সরকারের উচিত হবে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া। তাতে অন্তত কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে বাজার।

গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয় ১৭০ থেকে ১৭৫ আর সোনালি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। তবে গতকাল ঢাকার কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউনহল ও তেজকুনিপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির কেজি মিলছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়। সে হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে এ দুই জাতের মুরগির কেজিতে কমেছে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ৩০ টাকা। ডিমের বাজার দেখা গেছে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। ৫ টাকার মতো বেড়ে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।

পাম অয়েলের বাজারেও দর বাড়তির দিকে। ডিলার পর্যায়ে প্রতি ড্রামে (২০৪ লিটার) দেড় হাজার টাকার মতো বেড়েছে। তাতে খুচরা পর্যায়ে লিটারে বেড়েছে চার থেকে পাঁচ টাকা। সোয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে সবজির বাজারে অনেকটা স্বস্তি রয়েছে। বেশির ভাগ সবজির দাম ক্রেতার নাগালে। ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পটোলের কেজি। এক মাস আগেও পটোলের কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। অন্যান্য সবজির দরও নেমেছে অর্ধেকে। বেগুন ও উচ্ছের কেজি কেনা যাচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। বরবটির কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কাঁকরোল পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহের মতোই কাঁচামরিচের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত দেখা গেছে আলুর বাজার, কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়। এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজের ১১০ থেকে ১২০ এবং পাকিস্তানি ১০০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দর কিছুটা বাড়তি। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়ে দেশি রসুন ২০০ থেকে ২৩০ এবং আমদানি করা রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজারে ক্রেতার দুশ্চিন্তা এখন রয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আগে থেকেই বাড়তে শুরু করে চালের বাজার। গত এক মাসে মোটা, সরু ও মাঝারি সব ধরনের চালের কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে চার টাকা। নতুন সরকার গঠনের পরও দাম কমেনি। ফলে গত সপ্তাহের মতোই প্রতি কেজি মোটা চাল (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মাঝারি চাল (বিআর-২৮ ও পায়জাম) ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *