জানুয়ারি ৬, ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সময়ে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার। টাকা ফেরত আনতে আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে এফবিআইসহ (ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈঠক করবে বলেও তিনি জানান।

রোববার (১ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের অন্যতম কমিটমেন্ট পাঁচার হওয়া টাকা ফেরত আনবো। এ বিষয়ে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা কাজ শুরু করে দেবো। যারা এটা নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক ধরনের বৈঠক হবে। কোথায় (কোন দেশে) টাকাটা চুরি করে নিয়ে গেছে- এটা শনাক্ত করা হবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তী সরকার যে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছে, তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি তিন মাসের অনুসন্ধান শেষে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে।

শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দেন প্রধান উপদেষ্টা। শেখ হাসিনার আমলে দেশের অর্থনীতি কেমন ছিল তার প্রতিবেদন দিতে। কমিটিকে তিন মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তারা তিন মাসের মধ্যেই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। আজ তারা সেটি হ্যান্ডওভার করেন।

তিনি বলেন, মূল ফাইন্ডিংস এরই মধেই একটা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে আমরা জানিয়েছি। মূল চিত্র ভয়াবহ। গত ১৫ বছর উন্নয়নের গল্পটা পোস্টমোর্টেম করা হয়। এটার ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষের চোখের সামনে লুটপাট চলেছে। একটা লুটপাটতন্ত্র জারি হয়েছিল। অনেকে আবার এটার বৈধতাও দিয়েছেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...