দেশে-বিদেশে প্রভাবশালীদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে পাচার অর্থ পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সেই সঙ্গে সংস্থাটি পাচারকারীদের স্থানীয় সম্পদ জব্দের জোর চেষ্টা করছে। দেশের অর্থ আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ ও পাচার অর্থ পুনরুদ্ধারে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা চেয়ে যোগাযোগ করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিএফআইইউয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, আর্থিক খাতের বিতর্কিত এস আলম, সামিট, বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, ওরিয়ন, নাসাসহ অনেক গ্রুপের তথ্য চেয়ে একাধিক দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশে। প্রভাবশালীদের হাতে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে কী পরিমাণ অর্থ বের করে পাচার হয়েছে সেটি যাচাইয়েরও কাজ চলছে।
সংস্থাটির অপর এক কর্মকর্তা বলেন, আলোচিত গ্রুপ অব কোম্পানির মালিকদের অর্থপাচারের আংশিক তথ্য বিএফআইইউয়ের কাছে রয়েছে। এখন আরও বিস্তারিত তথ্য নেওয়ার কাজ চলছে। বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থার সুপারিশ করা হবে। পাচার অর্থ ফেরত আনা সময়সাপেক্ষ হলেও দেশের সব সংস্থা মিলে জোর চেষ্টা করছে। আশা করছি সুফল বয়ে আনবে।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গণমাধ্যমে দেওয়া ভাষণে জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি নামে-বেনামে ঋণের নামে কত টাকা আত্মসাৎ করে পাচার করেছেন, তার হিসাব করা হচ্ছে।
আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এক ব্রিফিংয়ে বলেন, এস আলম বিশ্বের ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি, যে পরিকল্পিতভাবে ব্যাংক লুট করেছে। পৃথিবীতে কেউ এভাবে ব্যাংক ডাকাতি করেছে কি না, আমার জানা নেই। তার নামে-বেনামে থাকা সম্পদ বিক্রি করে আমানতকারীর অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। এ মুহূর্তে কেউ যেন এস আলম গ্রুপের সম্পদ না কেনেন।