পার্থ টেস্ট জয় করতে ইতিহাস গড়তে হতো পাকিস্তানকে। এমন ম্যাচে ৪৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৮৯ রানেই গুঁটিয়ে যায় সফরকারী দলটি। পাকিস্তান ইতিহাস গড়তে ব্যর্থ হলেও মাইলফলক ছুঁয়েছেন অজি স্পিনার নাথান লায়ন। অবশ্য লায়নের দিনেও পাকিস্তানি ব্যাটারদের পরীক্ষা নিয়েছে দলটির তিন পেসার মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড। তাদের তাণ্ডবেই মাত্র চার দিনেই ৩৬০ রানে ম্যাচ হারে পাকিস্তান।
এ দিন একটি উইকেট তুলে নিতে পারলেই টেস্টে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করার সুযোগ ছিলো লায়নের। এমন দিনে তিন অজি পেসারদের তোপের মুখে পরে পাকিস্তানি ব্যাটাররা। মাত্র ৭৯ রানেই স্টার্করা তাদের ৭ উইকেট তুলে নেয়। এরপর ফাহিম আশরাফকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে, তৃতীয় অজি বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন লায়ন।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার ৪৫০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে পাকিস্তান। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে ফেরান স্টার্ক। এরপর দলীয় ১৭ রানে অধিনায়ক শান মাসুদ ফিরলে, ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। চা-বিরতির আগেই তিন অজি পেসারের তাণ্ডবে ৫০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান।
শুরুর ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি পাকিস্তান। এ দিন ইমাম উল হক ১০, বাবর আজম ১৪ ও সাউদ শাকিল ২৪ রান করেন। বাকি কোনো ব্যাটারই আর দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেনি। ফলে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ৮৯ রানেই গুঁটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। অজিদের হয়ে লায়ন দুটি, কামিন্স একটি ও স্টার্ক, হ্যাজলউড নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।
অবশ্য এদিন পাকিস্তানের লক্ষ্যটা আরো ছোটো হতে পারতো। যদিনা আগের দিনে উইকেটে থাকা উসমান খাওয়াজার সেঞ্চুরির জন্য স্বাগতিকরা অপেক্ষা করতো। চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই অজি ব্যাটারদের চেপে ধরে পাকিস্তানি বোলাররা। দিনের চতুর্থ ওভারেই খুররম শাহজাদ ফেরান স্টিভেন স্মিথকে। সরাসরি উইকেটে আসা বলের লাইন মিস করলে এলবিডব্লু হয়ে ৪৫ রানেই ফেরেন তিনি। এরপর উইকেটে আসা ট্রাভিস হেডও ১৪ রান করে আউট হন আমের জামালের বলে। বাকি সময়টা ব্যাট হাতে পাকিস্তানি বোলারদের চাপে রাখেন খাওয়াজা ও মিচেল মার্শ। এসময় নিজের হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন মার্শ। বড় সংগ্রহ পেলেও খাওয়াজার সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলো অজিরা। কিন্ত ৯০ রান করা এই ওপেনার শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে ডিপ থার্ড অঞ্চলে বাবরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।
এদিকে উইকেটের অন্য পাশে থাকা মার্শে ওয়ানডে মেজাজেই খেলছেন। শেষ পর্যন্ত ৬৩ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটার ৬৮ বলে করেন ৬৩ রান। ইনিংসে দুটি ৬ ও ৭টি চারের সাহায্যে এই ইনিংস সাজান তিনি। ফলে অস্ট্রেলিয়াও ৪৫০ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হয়। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো স্বাগতিকরা।