সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

পাকিস্তান ও বিশেষ করে দলটির ওপেনার ফখর জামানের প্রশংসা করে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেছেন, সত্যিই দলটি স্পেশাল। গতকাল বৃষ্টি বিঘ্নিত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে নিউজিল্যান্ডকে ২১ রানে পরাজিত করেছে পাকিস্তান।

তরুণ তারকা রাচিন রবিন্দ্রর তৃতীয় সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথমে ব্যাটিং করে নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে ৪০১ রানের পাহাড় সমান স্কোর গড়ে। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে এসেছে ৯৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস। বিশ^কাপ থেকে বিদায় এড়াতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিলনা পাকিস্তানের । পাওয়ার হিটিং দিয়ে শুরু থেকেই পাকিস্তান কিউই বোলারদের উপর চড়াও হয়। ৮১ বলে ওয়ানডেতে ১১তম সেঞ্চুরি পূর্ন করে ১২৬ রানে অপরাজিত থাকা ফখর ১১টি ওভার বাউন্ডারি ও আটটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন।বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হবার আগে অধিনায়ক বাবর আজম ৬৩ বলে করেছিলেন ৬৬ রান। ২৫.৩ ওভাবে ১ উইকেটে ২০০ রান করার পর বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর জয়ের জন্য পাকিস্তানের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ৩৪২ রান। কিন্তু এরপর আর ম্যাচ শুরু না হওয়ায় ডিএল পদ্ধতিতে ঐ সময় ২১ রানে এগিয়ে থাকা পাকিস্তানকে জয়ী ঘোষনা করা হয়।

টুর্নামেন্টে চার ম্যাচে জয়ী হয়ে দারুন শুরু করা নিউজ্যিলান্ড এখন টানা চার ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল। উইলিয়ামসন বলেছেন, ‘আজ পাকিস্তানের কাছ থেকে আমরা সত্যিই বিশেষ কিছু দেখেছি। ফখর যখন ব্যাটিংয়ে নামে তাকে দেখে মনে হয়েছে মাঠটা তার কাছে খুবই ছোট। সে শুধুমাত্র সঠিক জায়গায় সবগুলো শট খেলেছে। আজ তারা যা অর্জন করেছে সেজন্য পাকিস্তানকে কৃতিত্ব দিতেই হয়।’

শনিবারের ম্যাচের আগে ওয়ানডেতে ৪০০ বা তার বেশী রান করে ওয়ানডেতে মাত্র দুটি দল দল পরাজিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৪৩৪ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাবে প্রোটিয়ারা ৯ উইকেটে ৪৩৮ রান করে ১ উইকেটের দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নেয়। ২০০৯ সালে রাজকোটে শ্রীলংকা ৮ উইকেটে ৪১১ রান সংগ্রহ করেছিল। জবাবে ভারত ৭ উইকেটে ৪১৪ রান করে ৩ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে।

উইলিয়ামসন আরো বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম এত বড় রান সত্যিই আজ আমাদের এগিয়ে রাখবে। বোলিংয়ে আমাদের বোলাররা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠেছিল। একইসাথে আবহাওয়া আমাদের পক্ষে ছিলনা। পাকিস্তানের কাছ থেকে আমরা কিছুই ছিনিয়ে নিতে পারিনি। অসাধারণ খেলা উপহার দিয়ে তারাই আমাদের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছে।’

আট ম্যাচে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট এখন সমান ৮। রান রেটে এগিয়ে থেকে এখনো সেমিফাইনালে পথে কিউইরা এগিয়ে রয়েছে। আগামী ৯ নভেম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা। অন্যদিকে আগামী শনিবার কলকাতায় শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের মোকাবেলা করবে পাকিস্তান।

কিউই অধিনায়ক বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের দুই দলের পরিস্থিতি একই রকম। অন্য দলগুলোর ফলাফলের উপর আমরা নির্ভরশীল নই। বিশ^কাপে সবকিছুই সম্ভব। কিন্তু আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নিজেদের স্বাভাবিক খেলায় উপর মনোনিবেশ করা। সামনে কি আছে তা আমাদের উপরই নির্ভর করছে। তবে এ পর্যন্ত আমরা ইতিবাচক মনোভাবই দেখিয়েছি।’ খবর বাসস।

বৃদ্ধাঙ্গুলির ইনজুরি কাটিয়ে উইলিয়ামসন কাল দলে ফিরে নিজেকে প্রমান করেছেন। বিশ^কাপের আগে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়ে তার ভারতে আসাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। উইলিয়াসন বলেছেন, ‘এখানে খেলতে পারাটা সত্যিই আনন্দের। যদিও প্রতিটি ম্যাচেই আমাকে হাঁটুর দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হচ্ছে। এরপর আঙ্গুলের নতুন ইনজুরি দু:শ্চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সবকিছু কাটিয়ে এখন আবারো দলে ফিরতে পারাটা আনন্দের।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *