পাকিস্তানের উত্তরপূর্বাঞ্চলের পেশোয়ারের একটি মসজিদে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার পরই বোঝা গিয়েছিল অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এতে। এখন ধ্বংস্তুপের নিচ থেকে একের পর এক উদ্ধার করা হচ্ছে প্রাণহীন দেহ।
বোমা হামলার পরপরই আহত ও নিহতদের উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৯০ জন নিহত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃতদেহগুলো রাখা হয়েছে পেশোয়ার হাসপাতালে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা এএফপিকে পেশোয়ার হাসপাতালের মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম খান অন্তত ৯০ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে আরও মৃতদেহ আসছে।’
উদ্ধারকারী সংগঠন ১১২২ এর মুখপাত্র আহমেদ ফাইজি এএফপিকে সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে বলেছেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) আমরা ধসে পড়া ছাদের শেষ অংশটি সরানোর চেষ্টা করব যেন আরও দেহ উদ্ধার করতে পারি। ধ্বংসস্তুপের নিচে কাউকে জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
সোমবার ওই মসজিদটিতে যোহরের নামাজ শুরু হওয়া মাত্র বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশ সদস্যরা নামাজ আদায় করতেন। মূলত পুলিশকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছে।
হামলায় নিহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ২০ জনকে মঙ্গলবার একসঙ্গে পাকিস্তানের পতাকা মোড়ানো কফিনে সমাহিত করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবানের (পিটিটি) এক কমান্ডার জানান, এ হামলার সঙ্গে তারা জড়িত। তবে পরবর্তীতে পিটিটি এটি অস্বীকার করে। এরপর এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এর দায় স্বীকার করেনি।
পেশোয়ারের যে স্থানে বোমা হামলা হয়েছে সেখানে পেশোয়ার পুলিশের সদর দপ্তর, গোয়েন্দা সংস্থা এবং কাউন্টার-টেরোরিজমের অফিস অবস্থিত। ওই এলাকাটি কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত হলেও হামলার দিন হামলাকারী সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে এবং আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়।
সূত্র: এএফপি