পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা বলেছেন, শতভাগ স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে।
রাষ্ট্র পরিচালিত পিটিভির প্রতিবেদনে রাজা বলেন, কোনও বাধা ছাড়াই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল। কোনও নাগরিককে ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়নি। খবর ডনের
তিনি আরও বলেন, উদ্বিগ্ন ভোটারদের অনুরোধে গুজরাটের তিনটি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল।
পাকিস্তানে সকাল আটটায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা পাঁচটায় (বাংলাদেশ সময় ছয়টায়)। এখন চলছে গণনা। শুক্রবার দুপুর ২ টায় আনুষ্ঠানিক ফল জানা যাবে।
দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হাক কাকার বলেছেন, ভোটদানে বিপুল পরিমাণ মানুষের অংশগ্রহণে বোঝা যায়, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। এমন নির্বাচন আয়োজন করায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে নির্বাচন নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল থেকে প্রার্থী হওয়া নেতাদের। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ ও ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছে তেহরিক ই পাকিস্তানের নেতারা।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে মুঠোফোন সেবা সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অনেকটাই বেড়ে গেছে। এতে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। অবনতি ঘটছে দেশের নিরাপত্তা পরিবেশের। এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার ঝুঁকির বিপরীতে ‘সুরক্ষাকবচ’ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।