পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার জমা করেছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলারে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে জরুরি বৈঠকের আগে এই ডলারের সরবরাহ পাকিস্তানকে স্বস্তি দেবে বলে বার্তা সংস্থা এপির সংবাদে বলা হয়েছে।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘সৌদি আরব কথা রেখেছে, তাদের এই সহায়তার কারণে পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হবে।’ মন্ত্রী আরও জানান, সৌদি আরবের এই সহায়তা ঠিক ঋণ নয়, বরং বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করতে দেওয়া এই অর্থ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অন্তত এক বছর থাকবে।
এদিকে বুধবার (১২ জুলাই) আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে পাকিস্তানের বহুল প্রতীক্ষিত ৩০০ কোটি ডলারের বেইল আউট বা ঋণসহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন হতে পারে। এর ফলে এ সময় পাকিস্তানের রিজার্ভে ২০০ কোটি ডলার যোগ হওয়া দেশটির জন্য সহায়ক হবে।
ইসহাক দার বলেন, সৌদি আরবের এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ১১ দশমিক ৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ওই অর্থ দিয়ে দেশটির এক মাসের আমদানির বিল মেটানো সম্ভব ছিল। এর ফলে সৌদি আরবের এই সহায়তার জন্য পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
একই সঙ্গে ইসহাক দার জনগণকে নিশ্চয়তা দেন, পাকিস্তান শিগগিরই প্রবৃদ্ধির পথে ফিরবে। তিনি বলেন, আল্লাহ চাইলে অর্থনীতির এখন উন্নতি হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এই আমানত জমা করার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ টুইট করে সৌদি আরবের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের সহায়তা প্রমাণ করে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়ে দেশটির আস্থা ও আত্মবিশ্বাস আছে। পাকিস্তান সরকারও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য যা যা করা দরকার, সব করবে।
পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আইএমএফের কাছ থেকে ৩০০ কোটি ডলারের বেইল আউট প্যাকেজ চাইছিল। কিন্তু আইএমএফের সঙ্গে পাকিস্তানের দর–কষাকষি দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। অবশেষ চলতি বছরের জুন মাসে আইএমএফ এই ঋণ দিতে রাজি হয়। আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে এই ঋণ অনুমোদন হওয়ার কথা।