পাঁচ বছরের ব্যবধানে দেশে দারিদ্র্যের হার প্রায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মতো কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে। একই সময়ে দ্বিগুণ হারে বেড়েছে পরিবার প্রতি আয় ও ব্যয়। এ সময় বেড়েছে আয় বৈষম্যও, শহরে এই বৈষম্য এখন পৌঁছেছে চরমে। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও-এর পরিসংখ্যান ব্যুরোতে এইচআইইএস-২০২২ জরিপ সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
জরিপে আরও জানা যায়, ২০২২ সালে দেশের প্রতিটি খানার মাসিক গড় আয় বেড়ে ৩২ হাজার ৪২২ টাকা হয়েছে যা ২০১০ ও ২০১৬ সালে ছিলো ১১ হাজার ৪৭৯ টাকা ও ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। ২০২২ সাল পর্যন্ত খানা প্রতি মাসিক ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৫০০ টাকায় যা ২০১৫ সালে ছিলো ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা।
এইচআইই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন দেশের ৯৯ দশমিক ৩৪ খানা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় রয়েছে। যেখানে পল্লী অঞ্চলের রয়েছে ৯৯ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলের ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ, যা ২০১৬ সালে ছিলো ৭৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। উন্নত টয়লেট ব্যবহারের হার এখন ৯২ দশমিক ৩ শতাংশ। সূত্র একাত্তর টিভি
৭ বছর ও তার বেশি জনগোষ্ঠীর স্বাক্ষরতার হার এখন দেশে ৭৪ ভাগ। একজন ব্যক্তি খাবার কিনতে আয়ের ৪৫.৮ শতাংশ অর্থ ব্যয় করছেন, যা আগে ছিলো ৪৭.৭ ভাগ। খাদ্যের বাইরে জনগণের অন্যান্য পণ্য কেনার প্রবণতাও বেড়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের ভাত খাওয়া কমেছে। এখন একজন ব্যক্তি দিনে ৩২৮.৯ গ্রাম ভাত খান, আগে এই পরিমাণ ছিলো ৩৬৭.২ গ্রাম। গত ৬ বছরে সবজি ও মাংস খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। একজন ব্যক্তি প্রতিদিন ৭২.৫ গ্রাম প্রোটিন খাচ্ছেন, আগে যা ছিলো ৬৩.৮ গ্রাম।
দুইশো শতাংশ আয় বেড়েছে চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর: টিআইবিদুইশো শতাংশ আয় বেড়েছে চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর: টিআইবি
দেশে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১৮.৭ শতাংশে। আগের জরিপে যা ছিলো ২৪.৩ ভাগ। ২০২২ সালে মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ছিলো ১.১৩ শতাংশ মানুষ, যা ইঙ্গিত করে বাংলাদেশ এসডিজির অভীষ্ট- ২ অর্জনের পথে রয়েছে।