নভেম্বর ২৫, ২০২৪

পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। আপাতত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল হয়েছে। এদিন রাত ৮টার পর পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পেতে শুরু করেন ব্রডব্যান্ড গ্রাহকরা। তবে গ্রাহকরা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সমস্যায় পড়েছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হলে গত বুধবার ফোরজি (মোবাইল ইন্টারনেট) বন্ধ করা হয়। অপারেটররা জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফোরজি বন্ধ করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও। যদিও সরকার দাবি করছে, সহিংসতায় ইন্টারনেট অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই সেবা বন্ধ হয়েছে। তবে খাত সংশ্লিষ্টদের দাবি, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলে ইন্টারনেট সেবা সীমিত হবে, স্পিড কমবে। কিন্তু কোনোভাবেই পুরো সেবা বন্ধ হবে না। কারণ, দেশের ইন্টারনেট সেবা সচল রাখতে বিকল্প অনেক উপায় রয়েছে।

ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ছেদ পড়ে ডিজিটাল জীবনযাত্রায়। অনলাইনভিত্তিক আর্থিক কার্যক্রম থমকে যায়। গত কয়েক দিন ধরে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষও। নেটওয়ার্ক জটিলতায় প্রিপেইড মিটারের ব্যাল্যান্স শেষ হলেও রিচার্জ করতে পারেননি এর গ্রাহকরা। ফলে অনেককেই বিদ্যুৎহীন থাকতে হয় দীর্ঘ সময়। বিদ্যুৎ না থাকায় দেখা দেয় পানি সংকটও। বিদ্যুৎ অফিসগুলোয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও কার্ড রিচার্জ করতে দেখা যায়।

সফটওয়্যার রপ্তানিকারকদের সংগঠন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ জানান, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গত কয়েক দিনে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার মতো লোকসান হয়েছে।

টানা পাঁচদিন পর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করেছে সরকার। তবে এখনও বন্ধ আছে মোবাইল ডাটা। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে আজ বুধবার (২৪ জুলাই)। এর আগে, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরীক্ষামূলক ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি ফিরিয়ে আনছি। কেউ যেন মিথ্যা ও গুজবে বিভ্রান্ত না হন, সেজন্য অনুরোধ করব। মিথ্যা সংবাদ দেখে আপনারা কেউ বিভ্রান্ত হবেন না, আবেগতাড়িত হবেন না। মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর সংবাদকে প্রাধান্য দিতে হবে, সেগুলো সবার আগে জনগণকে গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত জ্বালাও-পোড়াও করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। যদিও এ সময়ে তারা অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ডাটা সেন্টার পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেট সেবা। তারপর থেকেই এই পরিষেবা চালু করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে অব্যাহত ছিল।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...