শেরপুরের ভারতীয় সীমান্তের ঢালু প্রদেশে নিহত হওয়ার তিনদিন পর এক বাংলাদেশি রাজমিস্ত্রির মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শেরপুর সীমান্তের ১১১৬ নং মেইন পিলার সংলগ্ন নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে উভয় দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে বাংলাদেশি ওই ব্যক্তির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, নিহত মনির (৪৩) শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের পশ্চিম খাড়ামোড়া গ্রামের মৃত মুন্সের আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মনির সপরিবারে ঢাকায় থাকতেন। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন এবং তার স্ত্রী গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। এবার ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়িতে বেড়াতে আসেন।
গত পহেলা মে রাত থেকে মনির নিখোঁজ ছিলেন। পরবর্তীতে পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন মনিরের মরদেহ ভারতের একটি হাসপাতালে রয়েছে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, মনিরের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর তার মরদেহ শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। কী কারণে মনিরের মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইদুর রহমান জানান, মনির আহত অবস্থায় ভারতের ঢালু প্রদেশে একটি স্থানে পড়ে ছিলেন। খবর পেয়ে পহেলা মে রাতে মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ঢালু থানা পুলিশ। এরপর ২ মে ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, মৃত্যুর আগে মনির তার নাম-ঠিকানা বলে যাওয়ায় তার পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানানো হয়। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ভারতের ঢালু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।