

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শাহজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। এখন চলছে ডিএসটি টেস্টের কাজ। শনিবার (৯ মার্চ) কূপটির সর্বনিম্ন স্তরে ডিএসটি টেস্ট শুরু হয়। এটি শেষ হলে জানা যাবে এখানে কী পরিমাণ গ্যাস মজুত আছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) প্রকল্প পরিচালক প্রিন্স মো. আল হেলাল বলেন, খনন কার্যক্রম শেষে শনিবার থেকে ডিএসটি টেস্ট শুরু হয়েছে। কূপটির মোট তিন হাজার ৩৮৫ মিটার গভীরে খনন করা হয়েছে।
‘যার মধ্যে লোয়ার জোনের ৩০৪১ মিটার থেকে ৩০৪৬ মিটার এবং ৩০৫৭ মিটার থেকে ৩০৬৪ মিটার পর্যন্ত পরীক্ষা চলছে। এরপরই অপর দুটি জোনের পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। তারপর এখানে মোট গ্যাস মজুতের পরিমাণ জানা যাবে।’ – যোগ করেন তিনি।
শাহজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপের ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের আশা ছিল, এখান থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করতে পারব। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আরও ভালো কিছু আশা করতে পারি। বাকি দুটি জোনের টেস্ট শেষে মোট গ্যাসের মজুত সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারব।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে শাহজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপের খননকাজ শুরু করে বাপেক্স। এর আগে, ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপ উৎপাদনের যাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপ থেকে উত্তোলন শুরু হয়।