নভেম্বর ১৫, ২০২৪

জাতীয় পা‌র্টির নির্বাচন থে‌কে স‌রে যাওয়ার আশঙ্কা থাক‌লেও তারা নির্বাচ‌ন কর‌তে চায় এবং জো‌টে থাক‌তে চায় ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন আওয়ামী লী‌গ সাধারণ সম্প‌াদক ওবায়দুল কা‌দের।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানম‌ন্ডি‌তে আওয়ামী লীগ সভাপ‌তির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় পার্টি তো আমাদের বলে গেছে, তারা নির্বাচন করতে চায়। জোটে থাকতে চায়। তারা তো বলেনি যে, তারা সরে যাবে। শঙ্কা, আশঙ্কা থাকতে পারে।

জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে ১৭-১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমরাও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাই। ১৭ তারিখে তো সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। ১৭, ১৮ তারিখ- সে পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করি। অস্বস্তির কোনও কারণ নেই।

কাদের বলেন, এখানে একটা নতুন অভিজ্ঞতা আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এসেছে, নতুন অভিজ্ঞতা নেওয়ার, বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া। কাজেই গণতন্ত্রে এটা আরেকটা নতুন অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগতে হলে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের জোট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের শঙ্কা, গুজব, গুঞ্জন আছে। তবে আমরা সতর্ক আছি। আমাদের বিভ্রান্ত করতে পারবে না।

জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে গেলে ২০১৪ সালের মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ আমরা রাখিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আছে। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী আছে, অন্যান্য দলও আছে। এবার নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কারও নির্বাচিত হওয়ার কোনও সুযোগ নেই।

কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এলাকায় ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বি, আমি আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি আমার এলাকাতেও ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে এবং সব এলাকাতে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে। কাজেই এ নিয়ে আমরা কোনও দুশ্চিন্তা করছি না।

ওবায়দুল কাদের আশা প্রকাশ করেন বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতিতে একটা ভালো নির্বাচন হবে। আমরা ক্রমেই গণতন্ত্রকে ত্রুটিমুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। এ নির্বাচনে গণতন্ত্র আরও পারফেক্ট হবে।

আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে জনগণ উন্মুখ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে তারা যতই নাশকতা করুক মানুষ কিন্তু নির্বাচনমুখী হয়েছে। মানুষ এখন নির্বাচনমুখী, মানুষ ভোট দিতে উন্মুখ। ভোটাররা আজকে গ্রামেগঞ্জে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, এই নির্বাচন আমাদের সফল করতে হবে। এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে হবে এবং ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা আমাদের পার্টি, আমাদের সমমনা দলগুলো সবাই আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছি।

যথাসময়ে নির্বাচন হবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সতর্ক আছি। গুজব, গুঞ্জন, সন্ত্রাস, সহিংসতা আমাদের বিভ্রান্ত করতে পারবে না। আমরা বিচলিত হবো না। আমরা জেনে-শুনেই এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে নির্বাচন করছি। আমাদের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করবো।

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে নির্বাচন প্রলম্বিত হবে, বিঘ্নিত হবে। এটা আমরা হতে দেব না। নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে নির্বাচন করার বিকল্প অন্য কিছু আমাদের মাথায় নেই। নির্বাচনের মাধ্যমেই আমাদের জবাব দিতে হবে।

নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নির্বাচন বিরোধী অপতৎপরতার জবাব দিবে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...