আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো ব্যাক্তি বা চক্র যেন পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সে বিষয়ে আরো সতর্কতা অবলম্বন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২১ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লিমিটেড এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর সঙ্গে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) পিএলসি এর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিমের সৌজন্য সাক্ষাতে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিএসইর সাবেক পরিচালক মেজর মোঃ (অব) ইমদাদুল ইসলাম৷
সৌজন্য সাক্ষাতে ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, পুঁজিবাজার বর্তমানে এক সংকটময় সময় পার করছে৷ এই সংকট থেকে উত্তোরনের জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ যেন পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেদিকে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে৷ এছাড়াও এক শ্রেণীর অসৎ ব্যক্তিবর্গ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বা ফেইসবুক পেইজ দ্বারা পুঁজিবাজার নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে৷ বিভিন্ন ইস্যুতে এসব গ্রুপ বা পেইজ ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে৷
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের মাঝে যে আস্থার সংকট চলছে, সে অবস্থা থেকে উত্তোরণ ঘটাতে হবে৷ এজন্য একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আমাদের এক সাথে কাজ করতে হবে৷ যে কোন মূল্যেই হোক বিনিয়োগকারী তথা পুঁজিবাজার সংশিষ্ট সকল পক্ষকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকা শক্তি পুঁজিবাজারকে গতিময় করে তুলতে হবে৷ পুঁজিবাজারকে প্রাণবন্ত করার জন্য ভালো কোম্পানি আনার পাশাপাশি ভালো বিনিয়োগকারী নিয়ে আসতে হবে৷ আমি আশা করি ডিএসই ও সিএসইসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্ঠায় দেশের পুঁজিবাজার পণ্য বৈচিত্রে বৈচিত্রময় হয়ে সকলের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত করবে৷
এ সময় সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, সামনে নির্বাচন, এ সময়টা পুঁজিবাজারের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ৷ কোনো মহল যেন পুঁজিবাজারের ওপর কোন রকম প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা এক সাথে কাজ করব৷ বর্তমান সংকটময় সময় থেকে উত্তোরণের জন্য উভয় স্টক একচেঞ্জ পুঁজিবাজারে আরো বেশি পরিমাণে ভালো সিকিউরিটিজ লিস্টেড করা এবং আরও নতুন প্রডাক্ট চালু করার ব্যাপারে কাজ করবে৷ এছাড়াও তথ্য, প্রযুক্তির উপর আমাদের যথেষ্ট জোর দিতে হবে, যাতে আমরা পুঁজিবাজারকে আরও অনেক বিকশিত করতে পারি৷ আমরা এ বিষয়ে একমত হয়েছি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জই একসঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে রেগুলেটরের কাছে যাব যাতে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ভালো একটা পরিবর্তন আনতে পারি৷