নভেম্বর ২৬, ২০২৪

নোয়াখালীর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে ভোটের সরঞ্জামাদি নিয়ে আসতে বাধা দেওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ছোড়া গুলিতে পাঁচ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেওয়ার সময় সরকারি মালামাল রক্ষার্থে পুলিশ ৪ রাউন্ড গুলি করেন। এতে বাধা প্রদানকারী ৫ জন আহত হয়।

গতকাল রাত ৮ টার দিকে কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর শুল্যাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন— নোয়াখালীর সদর কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর শুল্যাকিয়া গ্রামের আবুল কালাম মাঝির ছেলে কবির (৩৩), মৃত শাহ আলমের ছেলে মো. মান্না (২৩), মৃত রফিক উল্যাহর ছেলে মো. জামাল (৫০), মৃত মোহাম্মদ উল্যাহর ছেলে মো. মান্নান (৩৩), ও হানিফের ছেলে মো. রাকিব (২১)।

আহতদের নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, গুলিতে আহত ৫ জন আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নউর আলম সিদ্দিকী রাজু বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষ হলে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টের কাছ থেকে ফলাফলের কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। শুল্যাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা না করে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিয়ে যেতে চাইলে আমার কর্মীরা বাধা দেয়। পরে পুলিশ ও আনারস প্রতীকের লোকজন গুলি করে, এতে আমার পাঁচজন কর্মী আহত হয়। এই বুঝি নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচন?

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, আমরা জেনেছি ভোট গণনা শেষে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিয়ে ফিরে আসার সময় ৪০/৫০ জন ব্যক্তি নির্বাচনী সামগ্রী ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ ভোটগ্রহণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে। এ সময় সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসারের নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা ফায়ার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে হামলাকারী ৫ জন আহত হয়। বর্তমানে এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...