কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের ঘটনায় নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। আজ সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলমের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টকারী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নানা সংবাদ গণমাধ্যমে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যাতে হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আহ্বান জানাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হলে তাকে প্রক্টর অফিসকে অবহিত করার নির্দেশনা দেওয়া হলো। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতা দেওয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই দিনগত রাত ১২টা থেকে ২১ জুলাই সকাল ১০টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ বাড়ানো হয়। যদিও প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে।
এদিকে, সরকার কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নেওয়ায় সব আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রোববার (২৮ জুলাই) রাতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আলোচনা শেষে এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
অন্যদিকে, দেশজুড়ে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় ২৪৩টি মামলা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন থানায় নতুন করে মামলা হয়েছে ১৪টি।
নাশকতা-সহিংসতার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বিভিন্ন মামলায় এ পর্যন্ত দুই হাজার ৮২২ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি। গত ২৪ ঘণ্টায়ও গ্রেফতার করা হয়েছেন ৫৮ জন। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বেশিরভাগই জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মী।