বিক্রয়মূল্যের তারতম্য রোধে নিবন্ধিত সব সোনার দোকান বা জুয়েলারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দ্রুত ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) যন্ত্র বসাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন।
সম্প্রতি আসন্ন নতুন অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রস্তাব পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ সম্বলিত এ চিঠি এনবিআরকে দিয়েছে কমিশন। যেখানে বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) বিভিন্ন বাজেট প্রস্তাবনাও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
ইএফডি বিষয়ে কমিশনের পর্যবেক্ষণ হলো, অধিকাংশ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি না থাকায় বিক্রয়মূল্যে তারতম্য দেখা দিচ্ছে। নিবন্ধনকৃত সব প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত ইএফডি সরবরাহ করা হলে ভ্যাট আদায় বাড়বে।
নিজস্ব প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে স্বর্ণ পরিশোধন শুরুর আগে অপরিশোধিত স্বর্ণে আকরিক ও আমদানি শুল্ক যৌক্তিক করা এবং জুয়েলারি শিল্পে ব্যবহৃত মূলধনী যন্ত্রপাতিতে আমদানি শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে কমিশন।
এর আগে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআরকে একই প্রস্তাব দেয় বাজুস। তারা জানায়, নিজস্ব প্ল্যান্ট স্থাপন করে সোনা পরিশোধন করা হলে বাংলাদেশ শিল্পায়নের নতুন সেক্টরে প্রবেশ করবে।
বাজেটে বাজুস অপরিশোধিত স্বর্ণ আকরিক কাস্টমস ডিউটি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ ও আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণের কাস্টমস ডিউটি ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়।