নভেম্বর ১৫, ২০২৪

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন আগামী ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্যানেল প্রস্তুতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মিশা-ডিপজল প্যানেল প্রস্তুত হলেও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী কে হচ্ছেন তা স্পষ্ট নয়।

দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে নিপুণের। ইলিয়াস কাঞ্চন নির্বাচন করবেন না জানানোর পর থেকে তার প্যানেলের জন্য নতুন সভাপতি প্রার্থীর খোঁজে নেমেছেন তিনি; কিন্তু জুতসই কাউকেই পাচ্ছেন না।

নানা সময়ে কখনো শাকিব খান, কখনো অমিত হাসান, কখনো ফেরদৌসের নাম শোনা গেছে নিপুণের প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে; কিন্তু সবই ছিল গুঞ্জন। এরই মধ্যে খবর, নিপুণ নাকি সভাপতি প্রার্থী হতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন অনন্ত জলিলকে; কিন্তু তিনি রাজি হননি।

ঢাকাই সিনেমার এ প্রজন্মের অভিনেতা চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। নির্বাচন নিয়ে এসব আলোচনা-সমালোচনার পর থেকেই ডালপালা মেলেছে নানান জল্পনা। সত্যিই কী এবার নির্বাচন করতে যাচ্ছেন অনন্ত? এমন প্রশ্ন রীতিমতো রহস্যের জট বেঁধেছে অনন্ত-নিপুণের ভক্তদের মনে।

অনন্ত জলিল বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে খোলামেলা কথা বলেছেন। তিনি জানান, শিল্পী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার তাকে সভাপতি পদে দাঁড়ানোর অনুরোধ করলেও এ প্রস্তাবে সাড়া দেননি অনন্ত জলিল।

এই চিত্রনায়ক বলেন, ‘প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, মোহাম্মদ হোসেনসহ নিপুন ম্যাডাম আমার বাসায় এসেছিলেন সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে; কিন্তু আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন করছি না। কারণ আমি সেখানে সময় দিতে পারব না।

তিনি বলেন, ‘আমাকে ব্যবসায় সময় দিতে হয় প্রচুর। তার মধ্যেই সময় বের করে শুটিং করি সিনেমার। কিন্তু নির্বাচন করতে হলে তো সময় দিতে হবে। কারণ সময় না দিলে কোনো ক্ষেত্রেই সফল হওয়া সম্ভব না। সে কারণে আমি বিনীতভাবে সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব নাকচ করেছি।

অনন্ত জলিল আরও বলেন, ‘চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি, এখানকার মানুষদের ভালোবাসি। আমি সিনেমাপ্রেমী মানুষ হিসেবে আজীবন চেষ্টা করব সিনেমা ও এই সেক্টরের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে।’

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...