চেন্নাইর এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৮৮ রান সংগ্রহ করেছে নিউ জিল্যান্ড। আগের ম্যাচে অঘটন ঘটানো আফগানিস্তানকে জিততে হলে করতে হবে ২৮৯ রান। অবশ্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তারা ২৮৪ রান করে জিতেছিল। তাদের ব্যাটসম্যানরা রান পেলে আরও একটি জয় অসম্ভব নয়। তবে নিউ জিল্যান্ডের বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে ২৮৯ রান করে জেতাটা সহজও হবে না তাদের জন্য।
এদিন ব্যাট করতে নেমে ৩০ রানেই ডেভন কনওয়ের উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড। মুজিব উর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ৩ চারে ২০ রান করে ফেরেন তিনি।
সেখান থেকে উইল ইয়াং ও রাচিন রবীন্দ্র ৭৯ রানের জুটি গড়েন। ১০৯ রানের মাথায় রাচিনকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩২ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর ১১০ রানেই দুই উইকেট হারায় কিউইরা। ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ফিফটি (৫৪) করা ইয়াং ফেরেন আজমতউল্লাহর দ্বিতীয় শিকার হয়ে। আর নতুন ব্যাটসম্যান ড্যারিল মিচেলকে ফেরান রশিদ খান।
সেখান থেকে সবচেয়ে বড় জুটিটি গড়েন অধিনায়ক টম ল্যাথাম ও গ্লেন ফিলিপস। মূলত ২৮৮ রানের সংগ্রহের ভিতটা গড়ে দেন তারা দুজন। ১৫৩ বলে দলীয় সংগ্রহে তারা যোগ করেন ১৪৪ রান। তার মধ্যে ফিলিপস করেন ৭১ আর ল্যাথাম ৬৮।
দলীয় ২৫৪ রানের মাথায় ভাঙে এই জুটি। নাভিন উল হকের বলে রশিদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ফিলিপস। ৪টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় করে যান ৭১ রান। তার পর পরই নাভিনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ল্যাথামও। তিনি ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৬৮ রান।
এরপর মার্ক চ্যাপম্যান (২৫) ও মিচেল স্যান্টনার (৭) মিলে ১৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৩ রানের জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন। তাতে নিউ জিল্যান্ডের রান ২৮৮ ছোঁয়।
বল হাতে নাভিন ও আজমতউল্লাহ ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মুজিব ও রশিদ।