সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

নাহিদ ইসলামসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) আটক করেছে। তাদেরকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে ডিবি কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ডিএমপির গোয়েন্দাপ্রধান জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে জানা যায়, আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সাদাপোশাকের এক দল ব্যক্তি।নিজেদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের তুলে নিয়ে যান।

সেখানে উপস্থিত এক সমন্বয়কের স্বজন ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তারা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলেননি। ওই ব্যক্তিদের কেউ কেউ নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), আবার কেউ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্য পরিচয় দিয়েছেন।

তবে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এবং ডিবি’র কেউই তাদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া বা আটকের বিষয়টি স্বীকার করেননি।

নাহিদ, আসিফ ও আবু বাকের—তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা দাবি আদায়ে সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) কর্মসূচি দেওয়ার পর ১৯ জুলাই মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় এক বন্ধুর বাসা থেকে নাহিদকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। এক দিন পর পূর্বাচল এলাকায় তাঁকে ফেলে যাওয়া হয়। নাহিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিল আঘাতের চিহ্ন। এরপর থেকে তিনি এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অপর দুই সমন্বয়ক আসিফ ও বাকেরকেও এর মধ্যে ১৯ জুলাই তুলে নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর তাঁদের দুজনকে চোখ বাঁধা অবস্থায় যেখান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল, সেখানে ফেলে যাওয়া হয়। এরপর থেকে আসিফও এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর সঙ্গে থাকছিলেন বাকের।

তাদেরকে একরকম জোর করেই তুলে নেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডিসচার্জ ছাড়া তাদের নিয়ে যেতে আপত্তি জানান। অন্যদিকে তিন সমন্বয়কের, বিশেষ করে আসিফের শারীরিক অবস্থার কারণে ডিসচার্জ দেওয়ার উপযোগী নয় বলেও জানানো হয়। তবে তাঁদের চাপাচাপির কারণে বাধ্য হয়ে তাঁকে ডিসচার্জ দিতে হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *