নভেম্বর ২৯, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবক্ষেত্রে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে সরকার। প্রতিটা ক্ষেত্রে নারীরা যেন সমান অধিকার পায় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। নারীরা এখন গ্রামে বসেই কাজও করতে পারবে, উপার্জনও করতে পারবে।

আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে নবনির্মিত জয়িতা টাওয়ারের উদ্বোধনের পর আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করতেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এ দেশে নারীদের সার্বিক উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতার পর যে সংবিধান দিয়েছিলেন, সেখানে কিন্তু নারীর সমঅধিকারের কথা বলা আছে। তিনি নারী শিক্ষা অবৈতনিক করেছিলেন। নারী নেতৃত্ব যাতে গড়ে ওঠে, তার জন্য পার্লামেন্টে সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের প্রচেষ্টা সবক্ষেত্রে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। ১৯৯৭ সালে সরকার গঠন করে আমরা নারী উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পরই সেখানে নারীর যে অধিকারের কথা ছিল সব বাতিল করে দিয়েছিলেন। কারণ তিনি জামায়াতে ইসলামকে নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। ফলে তাদের ২০ দলীয় জোট নারীদের অধিকার বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর আওয়ামী লীগ পুনরায় ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আবারও আমরা নীতিমালা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাদের নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ ২২জন নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। বিএনপি তখন ক্ষমতায়। ব্রিটিশ হাইকমিশনের উপর গ্রেনেড হামলা করা হলো, আমাদের ছাত্রলীগ নেতা তুষারকে হত্যা করা হলো। সারাদেশে তখন সন্ত্রাসের রাজত্ব। বাংলা ভাই সৃষ্টি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, বোমা হামলা-গুলি এসবের বিরুদ্ধে আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা র‌্যালি করেছিলাম। কিন্তু আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে র‌্যালি করতে গিয়ে আমরাই গ্রেনেড হামলার শিকার হয়েছি।

তিনি বলেন, বিএনপির অত্যাচার-নির্যাতন, অগ্নিসন্ত্রাস… বিশেষ করে আমাদের যুব মহিলা লীগের মেয়েদের উপর যে অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়েছিল তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। গ্রেপ্তার করা, থানায় নিয়ে আটকানোসহ নানানভাবে তাদের (বিএনপির) নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কিন্তু তারপরও এর প্রতিবাদ আমাদের মেয়েরা করে গেছে। যখন রাস্তায় পুরুষরা নামতে পারেনি। তখন আমাদের আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগের নারী নেত্রীরাই সাহসের সঙ্গে পথে নেমেছেন। যার ফলেই আমরা আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের নারীরা কেন পিছিয়ে থাকবে। বেগম রোকেয়াই তো প্রথম আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। নারী শিক্ষার জন্য বেগম রোকেয়ার যে অবদান এবং তিনি স্বপ্ন দেখতেন নারীরা একদিন জজ-ব্যারিষ্টার হবেন। আজকে আমাদের নারীরা জজ-ব্যরিষ্টার হওয়া থেকে শুরু করে সব জায়গায় তাদের আপন অবস্থান করে নিয়েছেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...