নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই ভবনের দেয়াল ধসে পড়ে আরও দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফতুল্লা থানাধীন কাশিপুর হোসাইনী নগর এলাকার মাসুদুর রহমান আসলামের বহুতল ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- হোসিয়ারি কারখানার মালিক সবুজ খন্দকার, শ্রমিক রানা মিয়া, তার স্ত্রী বিথি আক্তার ও তাদের এক শিশু। এছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় ফ্ল্যাটের দেয়াল ধসে পড়ে আহত হয়েছে ফল ব্যবসায়ী আবু কালাম ও জাকির।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দগ্ধের স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১২টায় আসলামের মালিকানাধীন বহুতল ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটে মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা দগ্ধ হন। এছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় দেয়াল ধসে পড়ে আরও দুজন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও আহতদের জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন। বর্তমানে তারা সেখানে ভর্তি আছেন।
এদিকে রোববার সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, গত রাতে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪ জন এখানে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সবুজ খন্দকারের শরীরের ৫৫ শতাংশ, মো. রানার ১২ শতাংশ, বিথীর ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ জানান, বিস্ফোরণে ফ্ল্যাটের দেয়াল ভেঙে নিচে পড়ে পাশের বাড়ির একটি আধাপাকা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনে আসবাপত্র পুড়ে গেছে। কয়েকজন দগ্ধ হয়েছে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের পাইপ লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।