ফ্রান্স নাইজার থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত এবং আগামী মাসগুলোতে সৈন্যদের সরিয়ে নেবে। ম্যাক্রোঁ গতকাল রোববার টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তৃতায় বলেন, ‘ফ্রান্স তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবে।’
নাইজারের সামরিক নেতৃবৃন্দ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে একে সার্বভৌমত্বের দিকে এগিয়ে যাওয়া হিসেবে বর্ণনা করেছে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে দুমাস আগে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ফরাসীপন্থী প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাতকারে মাঁক্রো বলেছেন, রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের বিষয়ে ফ্রান্স সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক ঘন্টায় রাষ্ট্রদূত এবং কয়েকজন কূটনীতিক দেশে ফিরবেন।
তিনি আরো বলেছেন, নাইজারে সামরিক সহায়তার আর দরকার নেই। ফরাসী সৈন্যরা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশে ফিরতে শুরু করবে এবং বছরের শেষ নাগাদ তাদের সরিয়ে আনার কাজ শেষ হবে।
নাইজারের সামরিক শাসকরা তড়িঘড়ি এক বিবৃতিতে এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে একে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ফ্রান্স সাহেল অঞ্চলে জিহাদী বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে নাইজারে দেড় হাজার সৈন্য মোতায়েন রেখেছিল।
এর আগে ফ্রান্সের সাবেক উপনিবেশ মালি ও বুরকিনা ফাসো থেকেও ফরাসি সৈন্য প্রত্যহারের দাবি জানানো হয়।