দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের আয়োজনে ভার্চুয়াল এই শীর্ষ সম্মেলন আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর এতে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশনের প্রভাব দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলেও পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বকে এক থাকতে হবে। এছাড়াও বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের প্রতি পাঁচটি প্রস্তাবও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভার্চুয়ালি অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
ফিলিস্তিনে মানবিক সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ শেখ হাসিনা বলেন, ইসরাইলের নির্মম হত্যাযজ্ঞের মুখে ফিলিস্তিনিরা অসহায়। তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমাদের সকলের এক বিশ্ব হিসাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। এরমাধ্যমে সংঘাতের অবসান করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বিশ্ব অসহনীয় দারিদ্র্য, অবাঞ্ছিত বৈষম্য, অসহনীয় সন্ত্রাসবাদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর হুমকিতে জর্জরিত। গ্লোবাল সাউথের জনগণের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ এবং ক্রমবর্ধমান কষ্টসহ এখন নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা উপস্থিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন, গ্লোবাল সাউথ আমাদের ভবিষ্যৎ গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত, যদিও এটি প্রায়শই বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ গ্লোবাল সাউথের সাথে খাদ্য নিরাপত্তা, বিনামূল্যে আবাসন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু অভিযোজন অর্জনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি গ্লোবাল সাউথ এবং বিশ্বের উন্নতির জন্য কিছু সুপারিশ করেছেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য হলো একসাথে, সবার জন্য প্রবৃদ্ধি, সবার আস্থার সাথে এবং সমাপনী অধিবেশন হবে ‘গ্লোবাল সাউথ: টুগেদার ফর ওয়ান ফিউচার’। এছাড়া ৮টি বিভিন্ন থিমসহ মন্ত্রী পর্যায়ের সেশন থাকবে। এ সম্মেলনে বৈশ্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এতে ১০টি সেশন হবে। উদ্বোধনী ও সমাপনী সেশন হবে রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান স্তরে এবং সভাপতিত্ব করবেন নরেন্দ্র মোদি।
ভারত এর আগে ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট আয়োজন করেছিল ২০২৩ সালের ১২ ও ১৩ জানুয়ারি। ওই উদ্যোগে গ্লোবাল সাউথের ১২৫টি দেশ এক সঙ্গে তাদের মতামত তুলে ধরেছিল।