নওগাঁয় অবৈধভাবে ধান-চাল মজুতের দায়ে ১৬ মিল মালিককে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৩টি গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে।
শনিবার জেলার সদর, মহাদেবপুর, মান্দা ও পত্নীতলায় উপজেলায় দিনব্যাপী মজুত বিরোধী অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
অভিযানে নির্ধারিত সীমার চেয়ে অতিরিক্ত ধান-চাল মজুত রাখায় শহরের আনন্দনগর মহল্লার আর এম রাইস মিলের মালিক রফিকুল ইসলাম রফিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ৩টি গোডাউন সিলগালা করা হয়। তছিরন অটোমেটিক রাইস মিলের মালিককে ১ লাখ টাকা, মেসার্স এম,এম অটো রাইস মিল মালিক, মফিজ উদ্দিন অটোমেটিক রাইচ মিলের মালিককে ৫০ হাজার টাকা করে, মেসার্স জায়েদা ট্রেডার্স মালিককে ১ লাখ টাকা, মেসার্স সুফিয়া অটোমেটিক নাইস মিল মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মহাদেবপুর উপজেলার নাহার আরমান অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ৩০ হাজার টাকা, শাপলা অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ২০ হাজার টাকা, দাদা অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও জাহিদ অটোমেটিক রাইস মিল মালিকে ও মক্কা মদিনা অটোমেটিক রাইস মিল মালিকে জরিমানা করা হয়।
মান্দা উপজেলার সাবাই হাট এলাকায় অবৈধ ধান মজুদের দায়ে এবং লাইসেন্স না থাকার জন্য ফয়জুল ইসলাম নামে একজন ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা ও সুমন কুমার নামে আরও এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পত্নীতলা উপজেলায় লাইসেন্স ছাড়া ধান মজুদের দায়ে আরও ৩ ধান ব্যাবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা জানান, অবৈধভাবে মজুতকৃত এসব ধান-চাল খোলা বাজারে বিক্রি নিশ্চিত করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি), কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং একজন উপ পরিদর্শকের (এসআই) সমন্বয়ে টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি তদারকি করবে। ধান-চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মজুতবিরোধী এই অভিযান চলমান থাকবে।