দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের মধ্যে প্রায় ৬৭ শতাংশ ব্যবসায়ী এবং ৮৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ কোটিপতি। একাদশ জাতীয় সংসদের তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ও কোটিপতি সংসদ সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে।
এ ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের মধ্যে ১১১ জনের বার্ষিক আয় এক কোটি টাকার বেশি। আর ৫১ জন সংসদ সদস্যের বছরে আয় ৫০ লাখ টাকা।
সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
মঙ্গলবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
দিলীপ কুমার জানান, নির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২০০ জনের পেশা ব্যবসা। শতকরা হিসাবে যা ৬৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অন্যদিকে একাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী সংসদ সদস্য ছিলেন ১৮৫ জন, যা মোট সংসদ সদস্যের ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
সুজনের প্রকাশিত তথ্যে আরও জানা যায়, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে ২৬৯ জনের রয়েছে এক কোটি টাকার বেশি সম্পদ। যা শতকরা হিসাবে ৮৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যেখানে একাদশ জাতীয় সংসদে ২৪৭ জন বা ৮২ দশমিক ৩৩ শতাংশ সংসদ সদস্যের ছিল এক কোটি টাকার বেশি সম্পদ।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, একাদশ সংসদের তুলনায় এবার উচ্চশিক্ষিত সংসদ সদস্যের সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে। এবারের সংসদ সদস্যদের মধ্যে ৮২ দশমিক ৬০ শতাংশ স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। একাদশ সংসদে এই হার ছিল ৮১ শতাংশ।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করে না। হলফনামায় অনেক ক্ষেত্রে তথ্য গোপন এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য আছে। যে উদ্দেশ্যে আদালত প্রার্থীদের হলফনামায় তথ্য দিতে বাধ্যতামূলক করেছিলেন, তার উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না।’