শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বর্তমানে দেশে বন্ধ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৯৭টি বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে শিল্পমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ দিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বন্ধ থাকা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিসিকের নিয়ন্ত্রণাধীন রুগ্ন/বন্ধ শিল্প ৩৮২টি, বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন বন্ধ পাঁচটি, বিএসএফআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন চিনিকল স্থগিত ছয়টি, বিএসইসির চারটিসহ মোট ৩৯৭টি।
স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে শিল্পমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক ও বহুজাতিক কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করাসহ বিনিয়োগ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সময়কাল পর্যন্ত সরকার বিভিন্ন নিয়েছে এবং সাফল্যও এসেছে। বিসিকের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাঁচটি শিল্পনগরী, তিনটি শিল্পপার্ক ও দুইটি অন্যান্যসহ মোট ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে আরএডিপিতে সবুজপাতাভুক্ত ১১টি প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পগুলো অনুমোদিত ও বাস্তবায়িত হলে দেশে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হবে এবং বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বিনিয়োগে উৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে বিসিক কর্তৃক ১২২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১৬৭টি শিল্প প্লট বরাদ্দ হয়েছে। বিসিক উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে হোসিয়ারি শিল্পনগরী, পঞ্চবটি, নারায়নগঞ্জ; জামদানি শিল্পনগরী, তারাবো, নারায়নগঞ্জ; চামড়া শিল্পনগরী, সাভার, ঢাকা; এপিআই শিল্পপার্ক, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ এবং বিসিক বৈদ্যুতিক পণ্য উৎপাদন ও হালকা প্রকৌশল শিল্পনগরী, মুক্সিগঞ্জ শীর্ষক বিশেষায়িত শিল্পনগরী/শিল্পপার্ক বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী।