পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়ে ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ভারত সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলারদের হতশ্রী পারফরম্যান্সে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে ছেড়েছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও পেয়েছে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা। এমন ভরাডুবির পর দেশে ফিরছেন ক্রিকেটাররা, সেটাও আবার চাটার্ড ফ্লাইটে।
আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে শান্তদের। সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থাকায় খুব বেশি বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা। নেমে পড়তে হবে প্রস্ততিতে। তবে, ভারতের বিপক্ষে এমন শোচনীয় পরাজয়ে মানসিকভাবে বেশ পিছিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের ক্রিকেটারদের লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। যেখানে রানবন্যা বইয়ে প্রতিটি ম্যাচে একপেশে জয় তুলে নিয়েছে ভারত, সেখানে জয় তো দূরে থাক নূণ্যতম লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। এমন ব্যর্থতা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বলে মনে করছেন শান্ত-হৃদয়রা। প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের এমন শিক্ষা সফর শেষ হবে কবে?
বাংলাদেশের পরে ক্রিকেট খেলা শুরু করা দেশগুলোও এখন ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছে, বিশ্বমঞ্চে দিচ্ছে সামর্থ্যের প্রমাণ। সেখানে এত সুযোগ-সুবিধা পরও কেন পারছে না শান্তরা। যার দায় এড়াতে পারে না খোদ বিসিবিও। অন্যান্য দেশগুলো উইকেট থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের মানোয়ন্ননে যতটা কাজ করে, আদৌ কি তার ধারেকাছে কিছু করছে বিসিবি, এমনটাই প্রশ্ন সমর্থকদের।