জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, ‘শারদীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি। সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালিদের সবচেয়ে বড় এ উৎসবে দেশের সব মানুষের প্রতি জানাচ্ছি অফুরাণ ভালোবাসা।’
আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, “সনাতন ধর্ম মতে, ‘দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন’ প্রত্যাশায় শারদীয় দূর্গা উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে। এ সময় সমাজের অন্যায়, অবিচার ও অশুর শক্তি দমনের মাধ্যমে বিশ্বময় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরম ভক্তিকে আরাধনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, সর্বজনীন দূর্গা উৎসবে এ দেশের মুসলিম-বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও আনন্দমুখর পরিবেশে অংশ নেয়। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে বিরাজমান হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না।’
বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেন, ‘এই শুভক্ষণে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। দাঙ্গাজনিত কারণে প্রায় ৫০ বছর রাজধানীতে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা বের হয়নি। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেশ পরিচালনার সময় ১৯৮৯ সালে আবারও জন্মাষ্টমীর আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জন্মাষ্ঠমীর শুভদিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। পল্লীবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট। যোগ্যতার ভিত্তিতে সব ধর্মাবলম্বীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ ছাড়া, প্রতিটি পূজা-পার্বণ, মন্দির নির্মাণ ও সংস্কারে পল্লীবন্ধুর আন্তরিক সহায়তা ছিল সর্বজনবিদিত।’
বিবৃতিতে সবার শান্তিময় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।