দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর মাধ্যমে বাধাহীন যাত্রাপথ পাচ্ছেন রাজধানীবাসী। অবশেষে নির্ধারিত সময়ের ৯ বছর পর, আগামী শনিবার ( ২ সেপ্টেম্বর ) আংশিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে গতিময় এই সড়ক। আপাতত, ২০ কিলোমিটারের মধ্যে খুলে দেয়া হবে ১২ কিলোমিটার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিমানবন্দর প্রান্তে উদ্বোধনের পর ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন। পরে আগারগাঁওয়ে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন তিনি। পরের দিন আগামী রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সর্বসাধারণ এতে চলাচল করতে পারবেন।
এই যাত্রায় বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেইট পর্যন্ত অংশের ৫টি পয়েন্ট দিয়ে, গাড়ি উঠতে ও নামতে পারবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। এর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উঠা ও নামার জন্য থাকবে একটি করে র্যাম্প। কুড়িলে উঠার পথ ২টি আর নামার একটি। বনানীতে দুটি র্যাম্প উঠার আর দুটি নামার। মহাখালীতে নামা যাবে দুই পথে,তবে উঠা যাবে একটি পথে। আর ফার্মগেইটে নামার পথ একটি তেঁজগাও কলেজের সামনে, আর উঠার র্যাম্প ৩টি। শুরুতে মোট ১৬টি র্যাম্পের মধ্যে ১৩টিতে যানবাহন চলাচল করবে।
এরইমধ্যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, এই পথে উঠবে না তিন-চাকার আর দুই চাকার কোন যানবাহন। থাকবে না ফুটপাত। নির্ধারণ করা হয়েছে যানবাহনের টোলও। প্রাইভেট কারে সর্বনিম্ন ৮০ টাকা। একই টোল-হার মাইক্রোবাস, পিকআপ, হালকা ট্রাকের ক্ষেত্রে। তবে মাঝারি ট্রাকে ৩২০ টাকা এবং ভারী ট্রাক চলাচলে গুনতে হবে ৪শ টাকা। এছাড়া, বাস-মিনিবাসে গুনতে হবে ১৬০ টাকা।
এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরি হচ্ছে সরকারের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধানে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প রয়েছে। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।
বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। উদ্বোধন উপলক্ষে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অংশের উদ্বোধন করবেন বলে ১৪ আগস্ট জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।