সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়ের অবৈধ সম্পদের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (২৪ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন প্রশান্ত কুমার। তারপক্ষে জামিন শুনানি করেন রফিকুল হোসেন। দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ড. প্রশান্ত কুমার রায়ের বাড়ি খুলনার বাটিয়াঘাটা থানার গোপ্তমারী গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত বিমলেন্দু রায়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়ির এ-৫ ফ্ল্যাটে থাকেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’র প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি এক কোটি ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ঘোষণা দেওয়া ছাড়াও অবৈধ উপায়ে অর্জিত ও জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার ২৪৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সোমবার (৫ মে) এ মামলা দায়ের করা হয়।
ড. প্রশান্ত কুমার রায়ের উল্লেখযোগ্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে— খুলনার বটিয়াঘাটা থানায় দুই দশমিক চার একর জমি। যা এক কোটি ৬৫ লাখ টাকায় কিনেছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়ির যে ফ্ল্যাটে (এ-৫) থাকেন সেটা কিনেছেন ৪২ লাখ তিন হাজার ৮৪১ টাকায়। মোহাম্মদপুরে ৩৭৯, পুলপাড় রোড, পূর্ব জাফরাবাদে ১২০০ বর্গফুটের আরেকটি ফ্ল্যাট কিনেছেন ৫০ লাখ টাকায়।
রাজধানীর ১৪৩ গ্রিন রোডের ঠিকানায় গ্রিন সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় ৩০০ বর্গফুটের একটি কক্ষ কিনেছেন ১১ লাখ টাকায়। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমির ওপর দ্বিতীয়তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। ২৩ লাখ টাকায় একটি জাপানি প্রিমিও কার কিনেছেন। ১৬ লাখ টাকায় কিনেছেন একটি এক্সক্যাভেটর (ভেকু)।
এছাড়াও সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায় ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। স্বর্ণালংকার রয়েছে ১০ লাখ টাকার। ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে সাত লাখ টাকার। ২০২২-২৩ অর্থ বছর শেষে তিনি এক কোটি ৪১ লাখ টাকা ঋণ বাদে তার নিট সম্পদ রয়েছে এক কোটি ৮৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৪ টাকার।
২০২৩ সালের ৫ জুন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান। সাবেক এই সচিবের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এক কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার ২৪৭ টাকার সম্পদ রাখার অভিযোগ আনা হয়।
সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়ের অবৈধ সম্পদের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (২৪ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন প্রশান্ত কুমার। তারপক্ষে জামিন শুনানি করেন রফিকুল হোসেন। দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ড. প্রশান্ত কুমার রায়ের বাড়ি খুলনার বাটিয়াঘাটা থানার গোপ্তমারী গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত বিমলেন্দু রায়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়ির এ-৫ ফ্ল্যাটে থাকেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’র প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি এক কোটি ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ঘোষণা দেওয়া ছাড়াও অবৈধ উপায়ে অর্জিত ও জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার ২৪৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সোমবার (৫ মে) এ মামলা দায়ের করা হয়।
ড. প্রশান্ত কুমার রায়ের উল্লেখযোগ্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে— খুলনার বটিয়াঘাটা থানায় দুই দশমিক চার একর জমি। যা এক কোটি ৬৫ লাখ টাকায় কিনেছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়ির যে ফ্ল্যাটে (এ-৫) থাকেন সেটা কিনেছেন ৪২ লাখ তিন হাজার ৮৪১ টাকায়। মোহাম্মদপুরে ৩৭৯, পুলপাড় রোড, পূর্ব জাফরাবাদে ১২০০ বর্গফুটের আরেকটি ফ্ল্যাট কিনেছেন ৫০ লাখ টাকায়।
রাজধানীর ১৪৩ গ্রিন রোডের ঠিকানায় গ্রিন সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় ৩০০ বর্গফুটের একটি কক্ষ কিনেছেন ১১ লাখ টাকায়। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমির ওপর দ্বিতীয়তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। ২৩ লাখ টাকায় একটি জাপানি প্রিমিও কার কিনেছেন। ১৬ লাখ টাকায় কিনেছেন একটি এক্সক্যাভেটর (ভেকু)।
এছাড়াও সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায় ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। স্বর্ণালংকার রয়েছে ১০ লাখ টাকার। ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে সাত লাখ টাকার। ২০২২-২৩ অর্থ বছর শেষে তিনি এক কোটি ৪১ লাখ টাকা ঋণ বাদে তার নিট সম্পদ রয়েছে এক কোটি ৮৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৪ টাকার।
২০২৩ সালের ৫ জুন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান। সাবেক এই সচিবের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এক কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার ২৪৭ টাকার সম্পদ রাখার অভিযোগ আনা হয়।