ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর হাজার হাজার সমর্থক দেশটির কংগ্রেস, পার্লামেন্ট এবং প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে রোববার হামলা চালিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামলার পর এখন দাঙ্গাকারীদের আইনের আওতায় আনতে দেশটিতে ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার জনকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যেই জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থানরত জাইর বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বলসোনারোর স্ত্রী ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় সোমবার জানান, অন্ত্রে ব্যথা অনুভব করায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২০১৮ সালে ছুরিকাঘাতের শিকার হন বলসোনারো। ছুরিকাঘাতের স্থানে প্রায়ই ব্যথা অনুভব করেন তিনি।
এদিকে গত বছরের অক্টোবরে ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বলসোনারোকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসেন লুলা দা সিলভা। কিন্তু লুলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি মানতে পারেননি বলসোনারোর সমর্থকরা। ফলে তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোতে হামলা চালিয়েছেন তারা।
বলসোনারো নিজে সরাসরি কিছু না বললেও তিনি দাঙ্গায় উস্কানি দিয়েছেন বলে দাবি করছে ব্রাজিলের সরকার।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকে ব্রাজিলের সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন বলসোনারোর সমর্থকরা। তবে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে অবস্থানরতদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
তবে বলসোনোরর কিছু সমর্থক এখনো দেশটির মহাসড়কগুলো অবরোধ করে রেখেছে। তাদের সরিয়ে দিতে এখন কাজ করছে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে লুলা দ্য সিলভা আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের আগেই ব্রাজিল ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান বলসোনারো। বর্তমানে ফ্লোরিডায় অবস্থান করছেন তিনি। ক্ষমতা হারানোর পর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বিচার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেগুলো থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ব্রাজিল ছেড়েছেন তিনি।
সূত্র: রয়টার্স