সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যায় কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেপ টাউনসহ দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশে টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে সৃষ্ট ওই বন্যায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।

বন্যার পানি কমলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধ্বংসাত্মক আবহাওয়ায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে, বহু বাড়ির ছাদ ধসে গেছে, ফসল নষ্ট হয়েছে এবং রাস্তা ও অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকারী দলগুলো এখনও এমন লোকদের সন্ধান করছে যারা তাদের আংশিকভাবে নিমজ্জিত বাড়িতে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিবিসি বলছে, বন্যায় নিহত ১১ জনের মধ্যে আটজন মারা গেছেন বিদ্যুতায়িত হয়ে। মূলত বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের লাইন পানিতে পড়ার পর বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান আটজন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী লে রাউক্স নদীর পানি উপচে পড়ার পর ওউডশুর্ন শহরের একটি রিসোর্টে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭২ ছাত্র এবং ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক আটকা পড়েন।

বুধবার সকালে পানি নেমে যাওয়ার পর তাদের উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বন্যার কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এলাকায় প্রায় ২০০ জন খামার শ্রমিক আটকে রয়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বন্যায় ৮০ টিরও বেশি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং কমপক্ষে ১৫ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে বিদ্যুৎমন্ত্রী কেগোসিয়েনশো রামোকগোপা বলেছেন।

ওয়েস্টার্ন এবং ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের কিছু অংশে রেল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। বন্যা এই এলাকার বিখ্যাত আঙ্গুর ক্ষেতসহ সেখানকার কৃষিজমিকেও খারাপভাবে ক্ষতির মুখে ফেলেছে। এতে করে সেখানে ফসল উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কেপটাউন শহরের মেয়র জিওর্ডিন হিল-লুইস বৃষ্টিপাত পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এছাড়া পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রাদেশিক ক্যাবিনেট মন্ত্রী আন্তন ব্রেডেল বলেছেন, হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আটকে পড়া লোকের সন্ধান করছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *