স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার বাড়তি থাকলেও ঢাকাতে ডেঙ্গু অনেকটাই স্থিতিশীল। রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসায় সবচেয়ে ব্যস্ততম হাসপাতালগুলোতেও এখন ডেঙ্গু রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যা ফাঁকা আছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের পরিচালক।
তিনি বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার মোটামুটি স্থিতিশীল। তবে ঢাকার বাইরে আক্রান্তের হার বাড়ছে। ঢাকায় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ৪৮৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য মোট শয্যা ৬০০টি বলেও জানান তিনি।
শাহাদাত হোসেন বলেন, রাজধানীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়াও অন্যান্য প্রায় সবগুলো হাসপাতালেই শয্যা ফাঁকা রয়েছে। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেগুলোতে অতিরিক্ত শয্যার ব্যবস্থাও রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, কয়েকটি এলাকায় এখনো ডেঙ্গু সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যাত্রাবাড়ী, মুগদা, উত্তরা, জুরাইন, মিরপুর। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী যাত্রাবাড়ী এলাকায়। বিভাগীয় পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, আক্রান্তের দিক থেকে ঢাকার পরেই চট্টগ্রামের অবস্থান।
ডেঙ্গুতে মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত যে ২৬১ জন মারা গেছেন, তাদের প্রায় প্রত্যেকেই হাসপাতালে ভর্তির ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম ও প্লাজমা লিকেজ হয়েছে। শক সিন্ড্রোমের কারণে তাদের দেহের অন্যান্য অর্গানও আক্রান্ত হয়েছে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম তুলে ধরে ডা. শাহাদাত বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করছে। এমনকি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত পরিস্থিতি ও সব কার্যক্রম দেখভাল করছে। আমরা চিকিৎসার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছি।