শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত তুরস্কে ১২ হাজার ৩৯১ জন এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৯৯২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে সব মিলিয়ে এখন মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৮৩ জনে।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্কের হাতেয় প্রদেশ। বুধবার সেই অঞ্চলে যান তার্কিস প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সেখানে তাকে ধীরগতির উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। আর এত বড় দুর্যোগ সামাল দেওয়ার মতো প্রস্তুতি নেওয়া অসম্ভব। কিন্তু তবুও সবাইকে উদ্ধার করা হবে বলে প্রতিশ্রতি দিয়েছেন তিনি।
শুধুমাত্র হাতেয় প্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩০০ মানুষের। এ অঞ্চলের বেশিরভাগ ভবন ধসে পড়েছে। ধুলোয় মিশে গেছে পাড়ার পর পাড়া।
এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও, আশঙ্কা করা হচ্ছে এ সংখ্যাটি অনেক বাড়বে। কারণ এখনো হাজার হাজার মানুষ ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পর তিন দিন কেটে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো যারা আটকে আছেন তাদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে এসেছে।
যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ স্টেভেন গোডবে বলেছেন, ‘দুর্যোগের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে ৭৪ শতাংশ। ৭২ ঘণ্টা (তিন দিন) পর এটি নেমে আসে ২২ শতাংশে। আর পঞ্চম দিনে কোনো আহত বা ক্ষতিগ্রস্তের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৬ শতাংশে চলে আসে।
তবে এ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, তা সত্ত্বেও এখনই আশা ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
সূত্র: আল জাজিরা