

এখন থেকে ভিসা ছাড়াই তুরস্কে যেতে পারবেন ৬ দেশের নাগরিকরা। দেশগুলো হলো- কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও ওমান।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) তুরস্কের অফিসিয়াল গেজেটে এ সংক্রান্ত একটি প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রি প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশটির বিদেশি ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষা আইনের ১৮ নম্বর ধারায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন ডিক্রি অনুযায়ী ভিসা ছাড়া এই ছয়টি দেশের নাগরিকরা সর্বোচ্চ ৯০ দিন তুরস্কে থাকার বিশেষ অধিকার পাবেন। খবর হুররিয়েত।
প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক ঘুরতে যান ইতিহাস-ঐতি
হ্যে সমৃদ্ধ এই তুরস্কে। বেশি পর্যটক টানতে ওই ছয়টি দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত পর্যটন সেবা চালু করা হয়েছে। তাছাড়া তুরস্ক জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো- পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি এই দেশগুলোর সঙ্গে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ঘটানো।
তুরস্ক ভ্রমণকারীদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্য হলো দেশটির কৃষ্ণ সাগর (ব্লাক সি) অঞ্চলীয় প্রদেশগুলো। এসব প্রদেশের হোটেল মালিকরা আশা করছেন, ভিসা ছাড়ের কারণে পর্যটকের সংখ্যা বহুগুণে বাড়বে। ব্ল্যাক সি ট্যুরিজম অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (কেএটিআইডি) সভাপতি মুরাত টোকতাস বলেছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে আমরা আরও বেশি পর্যটক দেখতে পাবো।
কেন এই ছয়টি দেশকে ভিসা ছাড়ের জন্য বেছে নেওয়া হলো- এমন প্রশ্নের উত্তরে মুরাত টোকতাস বলেন,পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান ‘তুর্কি ট্যুরিজম প্রমোশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (টিজিএ)’ এই দেশগুলোকে লক্ষ্য করে কাজ করা শুরু করেছে। ভিসা ছাড়ের সিদ্ধান্ত সেই প্রচেষ্টার অংশও হতে পারে।
টোকতাস আরও বলেন, করোনা মহামারির আগে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে তুরস্কের কূটনৈতিক সমস্যা ছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সফরের পর এসব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হতে শুরু করে।
তুরস্কের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা গেছে, সৌদি আরব থেকে পর্যটক আগমনের হার এক বছর আগের তুলনায় এ বছরের জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এ বছর ১১ মাসে সৌদি আরব থেকে ৭ লাখ ৮৪ হাজার পর্যটক তুরস্ক ভ্রমণ করেছে। তাছাড়া একই সময়ের মধ্যে বাহরাইন থেকে ৫৭ হাজার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার পর্যটক তুরস্কে গেছে।
এদিকে, এ বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুরস্কে ভ্রমণকারীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে, কানাডিয়ান পর্যটকদের বার্ষিক বৃদ্ধি ছিল ২৭ শতাংশ, অর্থাৎ ২ লাখ ৩৭ হাজার জন।
কৃষ্ণ সাগর উপকূলের বৃহত্তম প্রদেশগুলোর একটি হলো ট্রাবজোন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৬ লাখ ৮৪ হাজার বিদেশি পর্যটক এই প্রদেশ ভ্রমণ করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৯ শতাংশ বেশি। সেখানে সৌদি থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার, ওমান থেকে প্রায় ৬০ হাজার ও কুয়েত থেকে ৪২ হাজার পর্যটক গিয়েছিল।