ভারতের সিকিমে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই পানি বাংলাদেশের দিকে প্রবেশ করায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে নদী পাড়ে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ ঘন্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাট জেলার কতিপয় নিম্মাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার(২০ জুন) দুপুর ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯১ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার তিন’শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর ইউনিয়ন কিছু এলাকা, গোকু-া ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী চরে বাদাম ক্ষেত, বিছন ধান, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ এলাকার তিস্তা পারের বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, তিস্তার পানি বাড়েছে। পানি বাড়ায় তিস্তার চরে থাকা ফসল পানিতে ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে।
আদিতমারি উপজেলার মহিষখোচা গ্রামের বাসিন্দা আকলিমা খাতুন বলেন, বাড়িতে পানি উঠেছে, চুলা ডুবে গেছে। রান্না করতে পারিনি।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, ভারতের সিকিমে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।