গেল তিন দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এবারই সবচেয়ে ছোটো মন্ত্রিসভা ঘোষণা করা হলো। বুধবার (১০ জানুয়ারি) ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৯৯১ সালের পর থেকে এটিই সবচেয়ে ছোটো মন্ত্রিসভা।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বঙ্গবভনে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা শপথ নিতে যাচ্ছে। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। শপথের পর দায়িত্ব বণ্টন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৯১-২০১৯ সাল পর্যন্ত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওই সময়ে যে ছয়টি রাজনৈতিক সরকার দেশ পরিচালনা করে, তাদের মন্ত্রিসভায় ৪৫-৬২ জন পর্যন্ত সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় এই সংখ্যাটি ছিল ৪৫ জন। আর ২০০৯-২০১৪ সালে সরকারের মন্ত্রিসভার আকার ছিল সবচেয়ে বড় ৬২ জনের
সংবিধানের ৫৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি মন্ত্রিসভা থাকবে এবং প্রধানমন্ত্রী ও সময়ে সময়ে তিনি যেরূপ স্থির করবেন, সেইরূপ অন্য মন্ত্রী নিয়ে এই মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১-৯৬ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের আকার ছিল ৫০ জনে। তখন মন্ত্রী ছিলেন ২৫ জন, প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ২২ জন। এছাড়া আরও তিনজন উপমন্ত্রী ছিলেন। এরপর ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত সরকারের মন্ত্রিসভার আকার ছিল ৪৯ জনে। এদের মধ্যে মন্ত্রী ছিলেন ২২ জন, প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ২৪ জন এবং উপমন্ত্রী ছিলেন তিনজন।
২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত সরকারের মন্ত্রিপরিষদের আকার ছিল ৬০ জনে। এই মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ছিলেন ২৮ জন, প্রতিমন্ত্রী ২৮ জন এবং উপমন্ত্রী চার জন। ২০০৯-১৪ সাল পর্যন্ত সরকারের মন্ত্রিপরিষদের আকার ছিল ৬২ জনে। এ সময় মন্ত্রী ছিলেন ৩৮ জন ও প্রতিমন্ত্রী ২৪ জন। ২০১৪-১৯ সাল পর্যন্ত ৫৯ সদস্যের মন্ত্রিপরিষদে মন্ত্রী ছিলেন ৩৬ জন, প্রতিমন্ত্রী ২১ জন এবং উপমন্ত্রী দুজন ছিলেন। ২০১৯-২৪ সাল পর্যন্ত ৪৫ জনের মিন্ত্রপরিষদে মন্ত্রীর সংখ্যা ছিল ২৪ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৮ জন আর উপমন্ত্রী তিনজন। সূত্র সময়টিভি।