

আগামীকাল বুধবার বিকেল ৫টায় তফসিলের বিষয়ে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপরেই প্রথমবারের মতো সরাসরি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ ভাষণেই ঘোষণা হবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল।
আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ইসি সূত্র জানায়, বৈঠকের পরই জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
গতকাল নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছিলেন, আগামী বুধবারের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
তিনি বলেছেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা হবে এটা ইসি থেকে আগেই বলা হয়েছিল। প্রথমার্ধের দিন যেহেতু সামনে আছে, তাই আপনারা অপেক্ষা করুন।
ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণার জন্য বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে সময় চাওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। তফসিল ঘোষণার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার পর সিইসি হাবিবুল আউয়াল টেলিভিশন ও বেতারে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
এদিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এমনকি ইসিতে এনআইডি সংশোধনের জন্য ব্যক্তিগত শুনানি আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ করা হয়েছে।
সকাল থেকেই পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইসি ভবনের সামনে চার টিমের পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, যা আগে ছিল না। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন ভবনে ঢুকতে হলেও গেটের সামনে পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে । পাশাপাশি পুলিশি টহলও বাড়ানো হয়েছে। কিছুক্ষণ পরপরই পুলিশের গাড়ি নির্বাচন কমিশনের সামনে দিয়ে টহল দিচ্ছে।
তফসিল ঘোষণা না করার জন্য বিরোধীতা করে আসছে বিরোধী দলগুলো। এ বিষয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। তাই সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। পরবর্তী সংসদের জন্য ভোটগ্রহণ করতে হবে তার আগের নব্বই দিনের মধ্যে। অর্থাৎ গত ১ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে। আর ২৯ জানুয়ারির মধ্যে রয়েছে নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি।