নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া মানিকগঞ্জের পদ্মায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের মাঝ নদীতে ফেরি দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমি জেনেছি, ফেরিতে বাল্কহেড ধাক্কা দিয়েছে। আমি এই মুহূর্তে বলতে পারব না আসলে কোনটা সত্য। তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া বলা যাবে না কোনটা সত্য। এখানে অন্য কোনো দুর্বলতা বা অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না, এর মধ্যে বলতে পারছি না। তবে প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে, বাল্কহেডের ধাক্কায় ঘটনাটি ঘটেছে। ফেরিটি ছিল ঘাটের খুব কাছাকাছি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, রাত দেড়টার দিকে যখন অন্যপ্রাপ্ত থেকে ফেরি ছেড়েছিল, তখন ঘন কুয়াশা ছিল না। ফেরির ফ্লগলাইটগুলো ঘন কুয়াশা ভেদ করে নদীতে চলাচলরত কোনো নৌযান চলতে পারে না।
প্রতিমন্তী বলেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান জাহাজ রুস্তম পৌঁছে যাবে, এই জাহাজ দিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রাকসহ অন্য যান উদ্ধারে সহায়ক হবে। আর উদ্ধার জাহাজ প্রত্যয় গিয়ে ডুবন্ত ফেরি উদ্ধারে ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনা পর্যবেক্ষণে নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব, টিসি ও টিএ’র চেয়ারম্যান অবস্থান করছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। বাংলাদেশের আবহাওয়ার কুয়াশা ভেদ করে এমন ফগলাইট নেই দেশে নেই। আগে কেনা ফগলাইটগুলো সার্ভে করে কেনা হয়নি। আমরা নিবন্ধন ছাড়া চলতে থাকা বাল্কহেডগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা রজনীগন্ধা নামের ছোট একটি ফেরি ডুবি যায়।
ফেরিটিতে ৭টি ছোট ট্রাক ও ২টি বড় ট্রাক ছিল। ফেরি উল্টে গিয়ে এর বেশকিছু অংশ দীর্ঘসময় পানির ওপরে ভাসমান ছিল। ফায়ার সার্ভিস সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে, এছাড়া চারজন সাঁতার কাটে ডাঙায় উঠেছেন। ফেরির সেকেন্ড ড্রাইভার হুমায়ূন কবির (৩৯) নিখোঁজ রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে।