নভেম্বর ৯, ২০২৪

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে অচল হয়ে গেছে মহাসড়ক। বন্যায় মহাসড়কের বড় অংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফেনীর লালপোল থেকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত দুপাশে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) রাত থেকে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি গাড়ি আটকা পড়ে আছে এ যানজটে। এ যানজটে আটকা পড়েছে বন্যাদুর্গতদের জন্য নিয়ে যাওয়া ত্রাণবাহী ট্রাক-লরি ও ছোটখাটো যানবাহনও।

বন্যার পানি কমলেও মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে অন্তত দুই দিন সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় দেশের রপ্তানি-আমদানি বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পণ্য পরিবহন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উল্লেখ্য, দেশের ৯০ শতাংশ বাণিজ্যই হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৃহস্পতিবার রাত থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার খায়রুল আলম। যানজটের প্রভাব পড়েছে পরিবহনে। চট্টগ্রাম বন্দর ও ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোতে আসা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গেছে।

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি পণ্য সরবরাহের জন্য আসা যানবাহনের সংখ্যাও কমেছে, যদিও এতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সেক্রেটারি ওমর ফারুক যানবাহন আসার সংখ্যা কমার কথা স্বীকার করলেও বন্দরের কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান-প্রাইম মুভার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব চৌধুরী জাফর আহমেদ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘ফেনী-চৌদ্দগ্রাম সড়কের উভয় পাশে সাড়ে তিন হাজারের বেশি যানবাহন আটকে আছে। আটকে থাকা যানবাহনে ডাকাতি ও লুটপাট হওয়ার খবর পেয়েছি।’

এই যানজট চট্টগ্রামে পরিবহন সংকটকে আরও তীব্র করেছে। এতে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পণ্য সরবরাহ ও প্রাপ্তি বিঘ্নিত হচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...