নভেম্বর ২৪, ২০২৪

চার ক্যাটাগরিতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করা যানবাহনের কাছ থেকে টোল আদায় করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার (২০ আগস্ট) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ২ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সাড়ে ১১ কিলোমিটার কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত উদ্বোধন করা হবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করা যানবাহনকে টোল দিতে হবে চার ক্যাটাগরিতে। ক্যাটাগরি-১ এ কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের কম) ৮০ টাকা, ক্যাটাগরি-২ এ মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা, ক্যাটাগরি-৩ এ ট্রাক (৬ চাকার বেশি) ৪০০ টাকা, ক্যাটাগরি-৪ এ সব ধরনের বাস (১৬ সিট বা তার বেশি) ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সেতুমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্ণফুলি টানেল প্রধানমন্ত্রী অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখে উদ্বোধন করবেন। আবার একই মাসের মাঝামাঝিতে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল অংশের উদ্বোধন করবেন তিনি। এ ছাড়াও ১০০ সেতুর মতো আগামী মাসের মধ্যে ১৫০টি সেতুর উদ্বোধন হবে। সেটির দিনক্ষণ খুব শিগগিরই জানানো হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের দিন বিকেলে পুরানো বাণিজ্য মেলার মাঠে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। পরদিন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। আর যান চলাচলে আপাতত সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। তার মানে ১০ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেট যাওয়া যাবে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থ্রি হুইলার ও মোটরসাইকেল চলাচল করবে না বলেও জানান তিনি।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম নুরুল আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু সচিব মো. মনজুর হোসেনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (কুতুবখালী) সঙ্গে যুক্ত করবে এক্সপ্রেসওয়েটি। প্রকল্পের ভৌত কাজের প্রথম ধাপে ১৪৮২টি পাইল, ৩২৬টি পাইল ক্যাপ, ৩২৫টি কলাম, ৩২৫টি ক্রস বিম, ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার এবং ৩২৮টি ব্রিজ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই ভৌত কাজের অগ্রগতি ৯৭.২৮ শতাংশ। প্রকল্পের ভৌত কাজের দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৬৩৩টি পাইল, ৩৩৫টি পাইল ক্যাপ, ৩২৩টি কলাম, ৩২০টি ক্রস বিম, ২ হাজার ৩০৫টি আই গার্ডার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৪৪টি আই গার্ডার এবং ২৩৩টি ব্রিজ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই ভৌত কাজের অগ্রগতি ৫৪.২২ শতাংশ।
 
সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি) তিন ধাপে উড়াল সড়ক প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রথম ধাপ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপ বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত। তৃতীয় ধাপ মগবাজার রেলক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রকল্পটির নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখছে। এই প্রকল্পের নির্মাণকাল ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে দুই হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।
শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...