আন্তর্জাতিক ফ্রুট অ্যান্ড বেভারেজ ব্র্যান্ড ‘সানকুইক’র অত্যাধুনিক কারখানার উদ্বোধন করেছে এসিআই কো-রো বাংলাদেশ লিমিটেড। এসিআই লিমিটেড এবং ডেনমার্কের জুস জায়ান্ট কো-রো এএস এর যৌথ বিনিয়োগে তৈরি ‘এসিআই কো-রো বাংলাদেশ লিমিটেড’র প্রথম কারখানা এটি।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার, এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা, কো-রো এ/ এস এর প্রেসিডেন্ট সোরেন হোম জেনসেন, কো-রো এ/ এস এর এশিয়া রিজিয়নের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সোরেন রেন্ডিন, এসিআই কো-রো বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালত নিলস রনো, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং নির্বাহী শীর্ষ ব্যবস্থাপনা এবং উভয় প্রতিষ্ঠাতা কোম্পানির বিশিষ্ট নেতারা উপরিউক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী, ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, “বাংলাদেশের কৃষি পণ্যের বাজারে বিদেশি বিনিয়োগ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর সাথে পণ্যের বৈচিত্র্য এসেছে। এসিআই কো-রো বাংলাদেশ’র স্থানীয় উৎস থেকে আমের পাল্প সংগ্রহ করে ভোক্তাদের কাছে মানসম্পন্ন শূণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। একইসাথে তারা বিশেষজ্ঞ মানের আদান-প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে যা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার বলেন, “বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমার লক্ষ্য শুধু দুদেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলা নয়, বরং দুদেশের মানুষের মাঝে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বাংলাদেশে ডেনিশ মানসম্পন্ন বিনিয়োগকে উৎসাহিত করাও আমার দায়িত্বের অংশ। এসিআই কো-রো-এর উচ্চমানের পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রণতি আমাদের দুদেশের সামগ্রিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করে। ডেনিশ বিনিয়োগ এর অর্থ শুধু পণ্যে বিনিয়োগ নয় বরং এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্যও একটি প্রচেষ্টা।”
কো-রো এ/এস এর প্রেসিডেন্ট সোরেন হোম জেনসেন বলেছেন, “এসিআই কো-রো’র মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের প্রায় ১৭ কোটি ভোক্তার একটি বৃহৎ এবং দ্রুত বর্ধনশীল বাজারে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। এসিআই’র সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা ঢাকার অদূরে একটি অত্যাধুনিক কারখানা নির্মাণে বিনিয়োগ করেছি। বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের যৌথ মূল্যবোধকে ধারণ করে আমরা একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে সমর্থ হয়েছি যার মাধ্যমে সানকুইক ফ্রুট ড্রিংক এখন শুধু দেশের বাজার নয় বরং রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্যও প্রস্তুত।”
এসিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা বলেন, “সানকুইকের লঞ্চের মাধ্যম যুগোপযোগী উন্নতমানের স্বাস্থ্যসমাত পণ্য বাংলাদেশের ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার প্রতি এসিআই’র যে প্রতিশ্রুতি তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে। আর এই কারখানার উদ্বোধন শুধু এসিআই কো-রো’র জন্য একটি মাইলফলকই নয় বরং এটি বাংলাদেশে ফ্রুট ড্রিংক বাজারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।”
উচ্চমান সম্পন্ন উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে দারুণ স্বাদের, ব্যতিক্রমী ফ্রুট ড্রিংক সরবরাহের মাধ্যমে গ্রাহকদের মাঝে ‘ওয়াও’ অনুভূতি জাগিয়ে তোলাই এসিআই’র লক্ষ্য। খাটি মান এবং স্বাদের প্রতি অঙ্গীকারের জন্য পরিচিত সানকুইক এ্যাম্ফ ইতোমধ্যে বিশ্বের হাজারো ভোক্তার মন জয় করেছে। ইউরোপীয় মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সানকুইক গত ৮০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কৃত্রিম রং, ফ্লেভার, চিনি ও প্রিজারভেটিভ ছাড়াই ভোক্তাদের পছন্দের স্বাদের ফ্রুট ড্রিংক সরবরাহ করে আসছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এই যাত্রায় সানকুইক ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পরিবর্তিত রুচির সাথে তাল মিলিয়ে, গুণগত মান ও স্বাদের প্রতীক হয়ে উঠতে প্রস্তুত।