অক্টোবর ১৬, ২০২৪

উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কথা জানান।

আগামীকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।

তিনি বলেন, বুধবার থেকে উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা। খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ করতে হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।

এদিকে, সরকারি দামে ডিম কিনতে না পারা, রসিদ না দেয়া, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানার কারণে ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু আড়তদার। এতে বাজারে তৈরি হচ্ছে ডিমের সংকট। ভোক্তারা পাচ্ছেন না ডিম। সব মিলিয়ে দেশে ডিমের বাজারে ভয়াবহ অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

গতকাল সোমবার তেজগাঁও ও পাহাড়তলী ডিমের আড়তে হয়নি কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা। এর ফলে, ১৫ থেকে ২০ লাখ পিস সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। বলা হচ্ছে, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর প্রতিটি ফার্মের ডিমের সর্বোচ্চ দাম বেধে দিয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। অথচ, ১৩-১৪ টাকার নিচে ডিম পাইকারি আড়তে মিলছে না। খুচরা দোকান কিংবা পাড়া-মহল্লায় এই দাম ছাড়িয়ে যাচ্ছে ১৫ টাকায়। এসবের প্রতিবাদে ডিম বিক্রিই বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এছাড়াও, চট্টগ্রামে ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। তারাও একই রকম দাবিতেই মূলত ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। আড়তে গিয়ে দোকানগুলোও বন্ধ দেখা যায়। তবে ভোক্তাদের দাবি ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করেই বিক্রি বন্ধ করে রেখেছেন। আড়তের ভেতরে প্রচুর ডিম মজুত করে রেখে কৃত্রিম এই সংকট তৈরি করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *