সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪

শরীরকে হাইড্রেটেড করার জন্য পানি আবশ্যক। তবে শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পানীয় পান করা হয়। এসব পানীয়র মধ্যে ডিটক্স ওয়াটার বেশ কদিন ধরেই আলোচনায়। অনেকেরই বেশ আগ্রহ রয়েছে জিনিসটা কি বোঝার জন্য। ভিটামিন বি আর সি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় বলে ডিটক্স ওয়াটারের এত প্রশংসা।

শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ায় এটি। ডিটক্স ওয়াটারে দুই ধরনের পানিতে দ্রবীভূত ভিটামিন থাকে। এই ভিটামিনগুলোর জন্যই তো মূলত এটি তৈরি সহজ। তবে অনেকে ভালোভাবে তৈরি করতে জানেন না। নিউট্রিশন কনসালট্যান্টরা জানাচ্ছেন কিভাবে তৈরি করবেন ডিটক্স ওয়াটার। পূর্ণ সুবিধাই বা পাবেন কিভাবে সেটিও জেনে নেওয়া যাবে।

বানাবেন যেভাবে

টক ফল দিয়েই ডিটক্স ওয়াটার বানান। সাইট্রাস জাতীয় ফল ব্যবহার করতে পারলে ভালো। আবার কাঁচা খাওয়া যায় যেমন গাঁজর, পেপেও দিতে পারেন। ধনেপাতা, পুদিনাপাতাও ব্যবহার করা যায়। উপকরণ যাই বাছাই করুন না কেন, সবসময় বড় টুকরো করুন। খোসা থাকলে অসুবিধা নেই। টুকরোগুলো বিশুদ্ধ পানিতে এক বা দুই ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। চাইলে ফ্রিজে রাখতে পারেন পুরোটা সময়। তবে একটা জারে রেখে মুখ এঁটে দেবেন। হয়ে যাবে ডিটক্স ওয়াটার।

সমন্বয় বা স্বাদ?

স্বাদ আর সমন্বয়ের কথা ভাবছেন? বিভিন্ন ধরনের ফল আর সবজির সমন্বয়েই করা যায়। আজকাল তো অনলাইনেই অনেক কিছু পাওয়া যায়। আপনি কিছু ভালো রেসিপি দেখে নিন। তরমুজের সঙ্গে মিন্ট বা ধনেপাতা মানায়। বাঙ্গিও মন্দ না। আনারস, সাইট্রাস ফলের আলাদা সমন্বয় হতে পারে। শসার সঙ্গে পুদিনা পাতাই ভালো। গাজরের ক্ষেত্রে কিছুটা কমলা দেয়া যায়। তবে ডিটক্স ওয়াটারে লবণ বা কোনো মশলা মেশাবেন না। চিনি তো না-ই।

সংরক্ষণ করবেন না

ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করে ফেলার দেড় কি দুই ঘণ্টার মধ্যেই খেয়ে ফেলুন। কারণ এটা তো সরাসরি শরবত না। পানি। এর পুষ্টিগুণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করবে। অফিসে যাওয়ার আগে একটা বোতলে ঝটপট সরঞ্জাম নিয়ে রওয়ানা দিন। অফিসে ঢুকেই পান করুন। ফ্রেশ লাগবে। আর ফাইবারও পাবেন। এটা একটা ভালো দিক। তলানিতে থাকা সবজি বা ফলও পরে খেলে বাড়তি পুষ্টি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *